টেস্ট চলাকালীন রোগী মৃত্যু ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে আসানসোলের মেডিকেয়ার ইমেজেস ল্যাবের সামনে বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ , সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত:
গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যদপ্তর রাণীগঞ্জ, দূর্গাপুর এলাকায় যথাযথ পরিকাঠামোর অভাবের কারণে একাধিক বেসরকারি নার্সিংহোম এবং হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু বিশেষ লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো আসানসোল শিল্পাঞ্চলে একাধিক বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাব চলছে যথাযথ পরিকাঠামো ছাড়াই।
সরকারের তরফ থেকে এই সব ল্যাবের বিরুদ্ধে সেভাবে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। রিপোর্টের গরমিল নিয়ে নিত্যদিনের অভিযোগ করা হয় রোগী এবং রোগীর পরিজনদের তরফ থেকে। কিন্তু সেইসব ল্যাব কতৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগ মানতে নারাজ থাকে।
আসানসোল শহর,রাণীগঞ্জ শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে কয়েকশ ল্যাব, এদের কাছে সেভাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নাই, আছে শুধু মাসলম্যানের ছাড়পত্র।
সোমবার সকালে আসানসোল শহরের বার্ণপুর রোডের নামী প্যাথলজিক্যাল ল্যাব মেডিকেয়ার ইমেজের বিরুদ্ধে পরীক্ষা করার সময় রুগী মরে যাবার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়।
অভিযোগ মৃত মিহিজামের কুশবেদিয়ার বাসিন্দা সদানন্দ পাল (৬০) রবিবার পরিবারের সাথে মেডিকেয়ার ইমেজে ক্লোনোস্কোপি ও এন্ডোস্কোপি করাতে এসেছিলেন। কিন্তু টেষ্ট চলার সময় রোগীর রক্তবমি শুরু হয়। পরিবারের অভিযোগ সদানন্দ বাবুকে ক্লোনোস্কোপি এবং এন্ডোস্কোপি টেষ্ট করার পর রক্তবমি হয় এবং পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে বুঝতে পেরে রুগীকে নিয়ে নিজেদের খরচে চিকিৎসক সহ কলকাতা নিয়ে যাবার পথে রোগী মারা যায়। তারা আরো অভিযোগ করে নিজেদের
গাফিলতির কারণে মেডিকেয়ারে টেষ্ট চলাকালীন রুগী মারা গেছিল, নিজেদের দোষ চাপা দেবার জন্য নিজেদের খরচে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছিল। আর ঠিক এই কারণে রোগীর পরিজনেরা মৃত ব্যক্তিকে মেডিকেয়ার ইমেজেস ল্যাবের সামনেই ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকেরা পৌঁছায় এবং হীরাপুর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিতে থাকেন।
এ বিষয়ে মেডিকেয়ার ইমেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিমন্যু বসুকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, কর্মসূত্রে তিনি বাইরে রয়েছেন এবং এই অনভিপ্রেত ঘটনার বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।