আসানসোলে মোটর ভেহিকল দপ্তরের তরফ থেকে স্কুলের বাচ্চাদের পুলকারগুলির ওপর চালানো হয় বিশেষ অভিযান
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ২০ শে ফেব্রুয়ারি,২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : নিত্যদিন ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছাবার জন্যে পূলকার এর ওপর ভরসা রাখেন অভিভাবকেরা। কিন্তু প্রায়ই পূলকার দুর্ঘটনা গ্রস্ত হবার খবর পাওয়া যায়। আর পূলকার দুর্ঘটনার পরই গাড়ির ফিটনেস এবং চালকের লাইসেন্স এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ের ওপর প্রশ্নচিহ্ন ওঠে।
কিন্তু খুব কম সময়েই পূলকার দুর্ঘটনা বন্ধ করার জন্যে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ বা ধরপাকড় অভিযান চালাতে দেখা যায়।
কিন্তু কিছুদিন আগে কলকাতার পূলকার দুর্ঘটনার পর এ ব্যাপারে মোটর ভেহিকল দপ্তর এ বিষয়ে নজর দিয়েছে। আর এর ফলস্বরূপ গতকাল পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোটর ভেহিকল দপ্তর এবং আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের তরফ থেকে একটি বিশেষ চেকিং অভিযান চালানো হয় পুলকারগুলির ওপর।
এই চেকিং অভিযান চলার সময় মোটর ভেহিকল অফিসার এবং পুলিশের আধিকারিকদের টিম প্রায় ৮০ টির বেশি পুলকারের ফিটনেস, চালকের লাইসেন্স প্রভৃতি খতিয়ে দেখেন এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত নথি, গাড়ির কাগজপত্র প্রভৃতি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। এদের মধ্যে যে সমস্ত গাড়িগুলোতে সমস্যা পাওয়া যায় সেইসব পুলকারকে ফাইন করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সতর্ক করা হয়।
এদিন চেকিং অভিযানে মোটর ভেহিকল দপ্তরের তরফ থেকে ছিলেন এম ভি আই টেকনিকাল ভকিল সিং এবং এম ভি আই টেকনিকাল জয়দেব সাহা।
এম ভি আই টেকনিকাল জয়দেব সাহা বলেন যে, ” বেশ কিছু গাড়িতে সমস্যা পাওয়া গেছে। কিছুক্ষেত্রে দেখা গেছে পি এস ভি লাইসেন্স নেই এবং তারা পি এস ভি লাইসেন্স ছাড়া বাস চালাচ্ছেন। তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
এম ভি আই টেকনিকাল ভকিল সিং কে প্রাইভেট নম্বর প্লেট লাগানো গাড়ি পুলকার বৈধ কিনা সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে হলে তিনি বলেন, ” প্রাইভেট গাড়ি রুলস এর মধ্যে পড়েনা। কেউ কেউ আবেদন করে রেখেছেন এবং এই ব্যাপারটি আর টি ও সাহেবের সাথে আলোচনা করে কোনো ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের তরফ থেকে ছিলেন এ সি পি ট্র্যাফিক ২ শ্রী অজয় শংকর চ্যাটার্জী এবং ও সি ট্রাফিক এস আই চিত্ততোষ মন্ডল।
এ সি পি ট্রাফিক২ বলেন, ” পুলিশ এবং মোটর ভেহিকল দপ্তরের এই যৌথ অভিযান চলতে থাকবে।”
এছাড়া পুলকার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি হেমন্ত মন্ডল বলেন, ” যে সমস্ত গাড়িতে চাকা বা অন্যকিছু নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের মালিকদের বলে শ্রীঘ্রই সমস্যা সমাধান করবার ব্যবস্থা করা হবে।”
এই পুলকার নিয়ে পুলিশ ও মোটর ভেহিকল দপ্তরের এই অভিযান স্কুলের বাচ্চাদের অভিভাবকদের মনে স্বস্তির বাতাবরণ তৈরী করবে এটাই আশা করা যায়।