ASANSOL-BURNPUR

পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য / দূর্গাপুর থেকে দেহ আসানসোলে নিয়ে আসার পথে শববাহী গাড়ি চালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১১ এপ্রিলঃ দূর্গাপুর থেকে আসানসোলে  মৃতদেহ নিয়ে আসার পথে একটি শববাহী গাড়ি চালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো। শুক্রবার রাতে ঘটা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা পশ্চিম  বর্ধমান জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দূর্গাপুরের বি জোনের আর্যভট্টর বাসিন্দা মৃত গাড়ি চালককের নাম শুভজিৎ মাহাতো (২৯)।

শনিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ চালকের মৃতদেহ তার ভাই অমরদ্বীপ মাহাতোর হাতে তুলে দেয়। পুলিশ এই ঘটনায় আনন্যাচারেল ডেথ বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুভজিৎ মাহাতো দূর্গাপুরের ডিএসপি মেন হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির শববাহী গাড়ি চালাতো। 
উল্লেখ, আসানসোলের রেলপারের বাসিন্দা ৭৫ বছরের এক হাতুড়ে চিকিৎসক ২ এপ্রিলের পরে  অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে  প্রথমে দূর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার উপসর্গ দেখে সন্দেহ হওয়ায় হাসপাতালের তরফে লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়। পরে তাকে দূর্গাপুরের কাঁকসায় কোভিড ১৯ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ঐ চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসে। সেদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো চিকিৎসকের দেহ আসানসোলে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু কোন এ্যাম্বুলেন্স চালক সেই দেহ নিতে অস্বীকার করেন। শেষ পর্যন্ত শুভজিৎ মাহাতো তার শববাহী গাড়িতে দেহ আনতে রাজি হয়। শুক্রবার বিকাল নাগাদ সে পিপিই পরে শববাহী গাড়িতে দেহ আসানসোলে আনছিলো। কিন্তু সন্ধ্যা ছটা নাগাদ আসানসোলের জামুড়িয়া থানার চাঁদার কাছে ২নং জাতীয় সড়কে সেই গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন এমনি গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে। পরে তারা দেখেন যে, গাড়ি চালক কেবিনের ভেতরে স্ট্রিয়ারিংয়ে মাথা দিয়ে  আছে। কোন সাড়া দিচ্ছেনা। সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ আসে। পুলিশ দেখে গাড়ি চালক অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছে। এরপর নিয়ে আসা হয় পিপিই পড়া অন্য দুই গাড়ি চালককে। রাত আটটা নাগাদ এক চালক অচৈতন্য চালক সহ মৃতদেহ রেলপারে আনে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কেউ বা কারা আসানসোল জেলা হাসপাতাল কতৃপক্ষকে না জানিয়ে, এমারজেন্সি বিভাগের সামনে অচৈতন্য চালককে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানতে পারেন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন চালক মারা গেছেন। গোটা ঘটনার কথা আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশকে জানানো হয়। শনিবার সকালে পুলিশ গাড়ির মালক ও চালকের বাড়িতে খবর পাঠায়। মৃত গাড়ি চালকের ভাই এদিন বলেন, দাদা কোথায় গাড়ি নিয়ে গেছে জানতাম না। রাতে অনেকবার দাদার মোবাইলে ফোন করেও পাইনি। কি করে এমন ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারছিনা। 
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই চালকের মৃত্যু হয়েছে। 
পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এদিন বলেন, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ★★★★

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *