বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ২২ এপ্রিল,২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: আসানসোলে কল্যাণপুর ও সৃষ্টিনগরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা ভাইরাসে সন্দেহজনকদের চিকিৎসা করার জন্য লেভেল ১ ও লেভেল ২ পর্যায়ের SARI (Severe Acute Respiratory Illness) আইসোলেশান হাসপাতালে পরিনত করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি, জেলার নোডাল অফিসার রাজেশ কুমার সিনহা প্রমুখ এই হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার ১০১ শয্যার সেই হাসপাতাল চালু হয়েছে।
কিন্তু হাসপাতাল চালু হলেও সকাল থেকে হাসপাতালের বেশকিছু চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের দাবি ছিল ওই হাসপাতালে কাজের জন্য যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই হাসপাতাল সরকার নিয়েছে তাই স্বাভাবিকভাবেই তাদের সরকারি হারে বেতন দিতে হবে। এইসব দাবিতে দীর্ঘক্ষন আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন চলতে থাকে। এই খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ হাসপাতালে আসে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে থেকে তাদেরকে বাইরে বার করে দিয়ে গেট বন্ধ করে পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা। কিন্তু এর পরে তারা গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যারা কাজ করতে রাজি হয়েছে তাদেরকে পিপিই ব্যবহার করা অন্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০ জনের মতো কর্মী কাজ না করে চলে গেছেন। তারা বলেছেন এই কাজ করবেন না ।
ওই বিক্ষোভরত হাসপাতালের কর্মীদের অভিযোগ, তাদেরকে পুরনো বেতনেই কাজ করতে বলা হচ্ছে যদিও তারা বলেছেন ন্যূনতম সরকারের যে মজুরি আছে, তা তাদের দিতে হবে। কোভিড হাসপাতালে কাজ করা ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এক্ষেত্রে সবরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে এবং সবকিছু লিখিত আকারে দিতে হবে। এছাড়াও তারা এটিও দাবি করেন যে কেউ যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে কর্মীদের আগে থেকে জানাতে হবে। অন্যথায় তারা কেউ কাজ করতে রাজি হবেন না।
হাসপাতালের এক আধিকারিককে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন বলেন, যারা প্রধানত এইসব দাবি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা হাসপাতালের কর্মী নয়। তারা আদতে ঠিকাদারের নিয়োগ করা কর্মী এবং এই মর্মে ঘটনার পরেই ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারমধ্যে ৬/৭ জন কাজ করতে রাজি হয়েছেন। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
সূত্র মারফত খবর ওই হাসপাতালে লেভেল ১ ও লেভেল ২ পর্যায়ের আইসোলেশান ওয়ার্ড হয়েছে। সেই মর্মে সরকারি অর্ডার ও মেমোরণ্ডাম প্রকাশ করা হয়েছে। এটিকে SARI ( সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) হাসপাতাল ও বলা হচ্ছে। সন্দেহজনক রোগীরা ভর্তি হবেন। তাদের লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। যদি পজিটিভ হয় তাহলে পাঠানো হবে দূর্গাপুরের কোভিড ১৯ হাসপাতালে । আর যদি নেগেটিভ হয় তাহলে এখানেই থাকবে। ওই রুগী যেখান থেকে এসেছেন সেখানেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শুধু ১০১ টি বেড সহ হাসপাতালে পরিকাঠামো ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে খবর কোনো চিকিৎসক বা নার্স এই কাজ করবেন না। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর তা পাঠাবে। এছাড়া খবর পাওয়া যাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী , নার্স বা ডাক্তারদের কয়ারান্টাইনে রাখার জন্যে ওই হাসপাতালের আশেপাশে দুটি হোটেল নেওয়া হয়েছে।
Mr. Chandan | Senior News Editor Profile
Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.