আসানসোলের সুমথপল্লী এবং কল্যাণপুরের রামকৃষ্ণ মিশন সংলগ্ন এলাকায়; পাওয়া গেল করোনা পজিটিভ
আসানসোল , বেঙ্গল মিরর,২৫ শে জুলাই ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত:
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় গত একমাসে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা একলাফে বেশ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
এখন আসানসোলের পাড়ায় গলিতে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়ে চলেছে।গতকাল আসানসোলের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুমথপল্লী এলাকায় ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তাকে গতকালই দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলর গুরুদাস চ্যাটার্জি – কে ফোন করা হলে তিনি বলেন নিয়ম মেনে ওই আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় সানিটাইজেশন করা হবে এবং সকালেই তা করা হয় । এছাড়া কাউন্সিলর বলেন ওই ব্যক্তির বাড়ির সদস্যদের করোনা পরীক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে অবশ্যই করবেন। সংলগ্ন বুধা এলাকা থেকেও কয়েকদিন আগে এক আক্রান্তকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।গোটা বিষয়ের উপর তিনি নজর রেখেছেন।
এদিকে বাড়ির লোকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেন আপাতত সবাই হোম কোয়ারানটাইনে আছেন এবং সুস্থ আছেন । জানা যায় আক্রান্ত রোগীর বড় ছেলে কোনো কাজে কলকাতা গিয়েছিলেন গত মাসে। কলকাতা থেকে ফেরত আসার পর থেকেই তার সামান্য সর্দি কাশি এবং জ্বর আসে এবং পরে তা ঠিক হয়ে যায়। এরপর ছেলের জ্বর ঠিক হলেও আক্রান্ত রোগীর জ্বর সর্দি কাশি দেখা দেয় এবং তার ছেলে ডাক্তার দেখালে তিনি করোনা টেস্টের পরামর্শ দিলে গত ১৮ তারিখ তিনি করোনা টেস্ট করান এবং গতকাল তাকে পজিটিভ জানানো হয় ফোন করে। সেই মত স্বাস্থ্য দপ্তর প্রটোকল মেনে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে আক্রান্ত রোগীকে দুর্গাপুরের কোভিড (সনকা) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এরই সঙ্গে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সংলগ্ন এলাকার “দ্য রিট্রিট” কমপ্লেক্সে ১ জন করোনা সংক্রমিত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। ওই এলাকা গতকাল সকালেই সানিটাইজেশন করা হয়। সূত্র অনুযায়ী খবর ওই আক্রান্তকে গতকাল বিকেলে দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাকি সদস্যদের পরীক্ষা করে হোম কোয়ারানটাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
এই দুই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই সমস্ত এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আজ শনিবার ২৫ তারিখ রাজ্য প্রশাসনের পূর্বঘোষিত সকাল ছটা থেকে রাত দশটা সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে।
আসানসোল দুর্গাপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল।
জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৭২ এ পৌঁছালো। সক্রিয় সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২৮০ তে পৌঁছল।
এটি বলাই বাহুল্য জনসচেতনতা ,মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এই সমস্ত বিধিগুলি এই রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।