রানিগঞ্জের দুটি ধর্মশালাকে ” সেফ – হোম” তৈরীর পরিকল্পনা পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের/ আগস্ট থেকে শুরু
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩১ জুলাইঃ করোনা ভাইরাসের উপসর্গহীন ও কম উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য “সেফ – হোম ” তৈরি হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও এইরকম ৭ টি সেফ-হোম তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে । যার মধ্যে রানিগঞ্জে দুটি সেফ -হোম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। রানিগঞ্জের দুটি ধর্মশালাকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছেন জেলা প্রশাসন। রানিগঞ্জের সীতারামজী ভবন ও ভগবান দাস শরাফ স্মৃতি ভবন পরিদর্শন করেছেন আসানসোলের মহকুমাশাসক দেবজিৎ গাঙ্গুলি। উপসর্গহীন ও কম উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য প্রত্যেক পুর ও থানা এলাকায় “সেফ – হোম” তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার । হোটেল, স্টেডিয়াম বা ম্যারেজ হলে ” সেফ-হোম” তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ‘সেফ হোমে” শৌচালয় সহ সব রকমের পরিকাঠামো থাকবে। রাখা হবে একটি চিকিৎসকের দল ও অ্যাম্বুলেন্স। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১০৯ টি “সেফ – হোম” তৈরি করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। করোনার মোকাবিলায় আইসিএমআরের নির্দেশিকা মেনে রাজ্য সরকারের ‘সেফ হোম’ তৈরির উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারেরও প্রশংসা পেয়েছে।
এই প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক দেবজিৎ গাঙ্গুলি বলেন, এখানে রোগীর পরিবারের সদস্যরা মনে করলে রোগীর সঙ্গে নিশ্চিন্তে দেখা করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে শুধু সামাজিক দূরত্ব বা সোশাল ডিস্টেন্স মেনে চলা নয়, পড়া ও অন্য সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
রাজ্যের কলকাতা সহ অন্যান্য জেলায় উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৮০০ ছুঁই ছুঁই। শুধু রানিগঞ্জেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগগজনক যে রানিগঞ্জে দুটি ওয়ার্ডে দফায় দফায় লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে।
রানিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সন্দীপ ভালোটিয়া বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ ছিলো রানিগঞ্জে আরো “সেফ হোম” তৈরি করা হোক। বনিকসভার পক্ষ থেকে আমরা ভবন চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে সবরকমের সহযোগিতা করবো।
মহকুমাশাসক বলেন, আগস্ট মাস থেকেই রানিগঞ্জের এই দুটি “সেফ – হোম” শুরু হয়ে যাবে।