করোনা আক্রান্ত নিয়ামতপুর পুলিশের ওসি, সালানপুরে রেকর্ড ভেঙে আজ করোনা পজিটিভ ১৩ জন
বেঙ্গল মিরর, সালানপুর:আজ আশঙ্কার পারদ এক ধাক্কায় অনেকটাই উপরে উঠল সালানপুর
ব্লকে একই দিনে ১৩ জনের করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ায়। পিঠাকিয়ারি ব্লক হাসপাতালে আজ মোট ৫৬ জনের দ্রুত অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যেই ১৩ জন করোনা পজিটিভ। এবং আশঙ্কা বাড়িয়ে এই ব্লকের নতুন নতুন এলাকা সংক্রমনের তালিকায় যোগ হচ্ছে। যেমন এতদিন জেমারি সংলগ্ন কলাডাবর গ্রামে করোনার প্রভাব ছিল না। কিন্তু আজ সেখানকার ২৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে । এরই সঙ্গে রূপনারায়ণপুরের ডিএভি স্কুল সংলগ্ন এলাকা এবং পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়ার অন্যদিকে করোনা আক্রান্তদের খোঁজ পাওয়া গেছে। ডিএভি স্কুল সংলগ্ন একটি পরিবার থেকে আজ ৫৩, ৩২ ও ২২ বছরের তিন মহিলার করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। আজ এই তালিকায় রূপনারায়নপুর আমডাঙ্গার এক ব্যক্তিও আছেন । তবে বলা যেতে পারে ব্লকের পুলিশকর্মীরা আবার বেশি বেশি করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন । আজকেই নিয়ামতপুর ওসির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং সালানপুর থানা ও নিয়ামতপুর পুলিশের মোট ৬ জন আজ করোনা পজিটিভ হয়েছেন। সব মিলিয়ে এক দিনে পিঠাকিয়ারি ব্লক হাসপাতাল থেকে ১৩ জনের করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত এই প্রথম হল । এদের মধ্যে ছয় পুলিশ কর্মী এবং কলাডাবরের এক ব্যক্তি সহ রূপনারায়ণপুরেরই ৬ জন ব্যক্তি আছেন। তবে আশার কথা এই যে রূপনারায়নপুর ফাঁড়ির কোন পুলিশকর্মী এখন আর করোনা আক্রান্ত নন।
অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে আজ ৫৪ জনের পরীক্ষা করা হলেও কারো করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে নি।
এদিকে রূপনারায়নপুরে একই বাড়িতে তিনজন বয়স্ক ব্যক্তি করণা আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের হোম-কোয়ারেন্টিন রাখার যে নির্দেশ স্বাস্থ্য বিভাগ দিয়েছিল সেই নির্দেশকে অবজ্ঞা করে ওই বাড়ির লোকজন যথেচ্ছ বাইরে বের হচ্ছেন, বাজার ঘাট করছেন। এমনকি আজ তারা ভুল বুঝিয়ে এক দুস্থ ব্যক্তিকে তাদের বাড়ির বাগানে কাজও করিয়েছেন এবং সবচেয়ে মারাত্মক আরো যে অভিযোগ উঠেছে তা হল তাদের বাড়ি থেকে খাবার পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ওই কাজের ব্যক্তিকে । এই ঘটনায় প্রতিবেশীরা মারাত্মক রকমের উদ্বিগ্ন হয়ে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন , যাতে পাশাপাশি এলাকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। এমনটা হতে থাকলে তাদের বাড়ির গেটের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ মন্তব্য করেছে। আর সেটা একান্ত সম্ভব না হলে ওই বাড়ির প্রত্যেককেই ইএসআই হাসপাতাল- এর সেফ হাউসে পাঠিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।