আসানসোলে একের পর এক মদের দোকানে হচ্ছে লুটপাট
ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৮০ হাজার টাকা ও ৭০ হাজার টাকার মতো মদের বোতল লুঠ করে
বেঙ্গল মিরর ,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩১ আগষ্টঃ লক ডাউনের আগের রাতে নৈশপ্রহরীকে মারধর ও বেঁধে রেখে একটি মদের দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটলো।
৫/৭ জনের একটি ডাকাত দল দোকানের এ্যাসবেস্টারের ছাদ ভেঙ্গে ৭০ হাজার টাকার মতো মদ এবং প্রায় ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার ডামরার কুমারডিহিতে এই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় যায় ।
দোকান মালিক অভিজিৎ মন্ডলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তবে কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া লক ডাউনের মধ্যে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন থানা এলাকার মদের দোকানে ৮ টি ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটলো।
স্বাভাবিকভাবেই দোকান মালিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গোটা বিষয়টি তারা আবগারি দপ্তরকেও জানিয়েছেন। তারপরেও দোকানে দোকানে দূষ্কৃতি হানার ঘটনা ঘটতে থাকায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহরম ও লক ডাউনের কারণে রবিবার ও সোমবার মদের দোকান বন্ধ ছিলো। রবিবার রাতে অন্যদিনের মতো আসানসোলের ঐ মদের দোকানে ঘুমোচ্ছিলেন নৈশপ্রহরী মতিলাল মন্ডল। রাত আড়াইটের পরে সেই দোকানের ছাদের এ্যাসবেস্টার ভেঙ্গে ৫/৭ জন সেই দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। নৈশপ্রহরী কিছু বুঝে উঠার আগেই ডাকাতরা তাকে ধরে ফেলে।
মারধর করে তার কাছে জানতে চায়, ক্যাশ বাক্স কোথায় আছে ও তার চাবি কোথায়? নৈশপ্রহরী তার কাছে চাবি নেই বলায়, ডাকাতরা তাকে তার গায়ের চাদর দিয়ে দোকানের ভেতরে লোহার খুঁটিতে বেঁধে ফেলে। তারপর দূষ্কতিরা ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৮০ হাজার টাকা ও ৭০ হাজার টাকার মতো মদের বোতল লুঠ করে। যাওয়ার সময় তারা নৈশপ্রহরীর মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়।
বেশ কিছুক্ষুন পরে কোনমতে বাঁধন খুলে নৈশপ্রহরী অন্য ফোন থেকে দোকান মালিককে ঘটনার কথা জানায়। দোকান মালিক এরপর আবগারি দপ্তরের ওসিকের ঘটনার কথা জানান। ওসি তাকে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশকে জানাতে বলেন। সেই মতো দোকান মালিক থানায় খবর দিলে, পুলিশ আসে।
পুলিশ জানায়, দোকান মালিক ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।