ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি, বয়স্ক মানুষদের পাশে থাকার নিয়ে বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল,সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : গরীব বঞ্চিত মানুষদের ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরিতে এবং লক ডাউনের সময় বয়স্ক মানুষদের পাশে থাকার লক্ষ্য নিয়ে, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেসের দপ্তর অগ্নিকন্যা ভবনে আসানসোলের মেয়র এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারির নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়।
উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি, আসানসোল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জী, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগাস্থি , আসানসোলের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায়, এছাড়াও সমস্ত জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কাউন্সিলররা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলার পর মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন বৈঠকে সমস্ত জেলা সরকারি পদাধিকারীদের উপস্থিতিতে বৈঠকে দুটি বিষয়ে আলোচিত হয়।
প্রথমত, সারা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বহু গরিব মানুষদেরকে রেশন কার্ড প্রদান করেছেন।লক ডাউনের সময় রেশন কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থার সুবিধা পেয়েছেন অনেকেই।
কিন্তু ডিজিটাল রেশন কার্ড এখনও অনেকেরই নেই। তাদের সরকার যেমনটা চাইছেন যাতে সমস্ত বঞ্চিত গরিব মানুষ ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পান এবং তার সুবিধে নিতে পারেন,
সেইমত সবাই যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সত্যি বঞ্চিত যারা তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে এবং তারা যাতে রেশন কার্ড পান সে ব্যবস্থা করা হবে। বিগত বাম সরকার এমন অনেকেরই নাম নথিভুক্ত করে দিয়ে গিয়েছে যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল।
বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনপ্রতিনিধিরা তালিকা প্রস্তুত করবেন
এক্ষেত্রে কাউন্সিলর মেয়র পরিষদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মীরা তাদের অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বঞ্চিত মানুষদের তালিকা প্রস্তুত করবেন।বাম আমলে তৈরি অনেক ভুয়ো রেশিনকার্ড এখনো রয়ে গেছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে আসানসোলের মেয়র বলেন,
এটা সত্যি যে আগে বাম সরকারের অনেক আর্থিকভাবে স্বচ্ছল মানুষকে রেশন কার্ড দিয়ে গিয়েছে কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে অনেকক্ষেত্রেই
সেইসব মানুষকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে এবং অনেক ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। তবুও যে কিছু ভুল-ত্রুটি রয়ে গেছে সেগুলি সংশোধন করে দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।
দ্বিতীয়তঃ, জেলায় সিনিওর সিটিজেন বা নিঃসঙ্গ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন যাদের সাহায্য করার জন্যে কেউ নেই তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে।
যে কোন দরকারে আসানসোল ও দুর্গাপুর কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি সবার পক্ষ থেকে তাদের সাহায্যের জন্য কর্মসূচি নেওয়া হবে আগামী ২ রা অক্টোবর থেকে এবং একটি হেল্পলাইন তৈরী করা হবে। সরকারের এবং দলের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব তাদের পাশে দাঁড়ানো হবে।