লাইব্রেরি অন হুইলের ” মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছাচ্ছে বই
আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অভিনব উদ্যোগ
বেঙ্গল মিরর, শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২ সেপ্টেম্বরঃ করোনা ভাইরাসের কারণে আপাততঃ লক ডাউনের পরে এখন আন লক পর্ব চলছে গোটা দেশ জুড়ে । সেই মার্চ মাস শেষ থেকে স্কুল, কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ। অনলাইনের মাধ্যমে পড়ুয়াদের পড়াশোনা চলছে।
এই রকম পরিস্থিতিতে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পক্ষ থেকে কলেজের পড়ুয়াদের জন্য শুরু করা হয়েছে ” ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি বা লাইব্রেরি অন হুইল “।
আন লক ও করোনা আবহের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াদের পড়াশোনা করতে যাতে কোন সমস্যা বা অসুবিধা না হয়, তার জন্য একটি বাসে করে বই নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও দূর্গাপুর মহুকুমার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বই দেওয়া ও নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
লক্ষ্য রয়েছে কলেজের ৩ হাজার পড়ুয়ার কাছে বই পৌঁছে দেওয়া
২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিকে রেশমা এই প্রসঙ্গে এদিন বলেন, ১৫ আগষ্ট থেকে আমাদের এই মোবাইল লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত, মোটামুটি দূর্গাপুজোর আগে পর্যন্ত আমরা এটা চালু রাখবো। আমরা লক্ষ্য রয়েছে কলেজের ৩ হাজার পড়ুয়ার কাছে বই পৌঁছে দেওয়া। ইতিমধ্যেই আমরা ৫০০ পড়ুয়ার কাছে বই পৌঁছে দিয়েছি। জেলার পাশাপাশি আমরা দুদিন পরে আগামী শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে পড়ুয়াদের বই পৌঁছে দিতে যাবো। এছাড়াও আরো বাইরে যেসব পড়ুয়ারা আছে, তাদের কাছে কিভাবে বই পৌঁছানো যায়, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।
কলেজের লাইব্রেরিয়ান বিদ্যুৎ পাত্র বলেন , পড়ুয়াদের সঙ্গে আমরা আগে থেকে ওয়াটস্ এ্যাপ ও মেল মারফত যোগাযোগ করে সময় ও জায়গা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের কি বই দরকার, তাও জেনে নিচ্ছি। এরপরে সেই জায়গায় পড়ুয়ারা এসে তাদের বই সংগ্রহ করছে । আবার কেউ কেউ বই ফেরত দিয়েও অন্য বই নিয়ে যাচ্ছে ।
এইরকম ভাবে আসানসোলের চিত্রা মোড়, গোপালপুর, উষাগ্রাম, আসানসোল স্টেশন সহ মোট ৫ টি জায়গায় বই দেওয়া ও জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুলটির নিয়ামতপুর ও বরাকরেও পড়ুয়াদের বই দিয়েছি। এর ফলে করোনা আবহে পড়ুয়াদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরো বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু হয়েছে। কিন্তু বইয়ের কোন বিকল্প হয়না। তাই আমাদের এই চেষ্টা।
এই প্রসঙ্গে কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর (ডঃ) পিপি ভট্টাচার্য বলেন, করোনার মধ্যে কলেজের পড়ুয়ারা বিভিন্ন ধরনের গবেষণামুলক কাজ করেছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি তাদের পাশে থাকার। কলেজ কতৃপক্ষ লাইব্রেরি অন হুইলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে বই পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে।
কলেজের পড়ুয়ারাও কলেজের এই চেষ্টায় খুব খুশি। তাদের কথায়, অনলাইনে পড়াশোনা করলেও, বই আলাদা। বই হাতে পাওয়ায় পড়াশোনাটা আরো ভালো হবে।