রানিগঞ্জে দামোদর নদী থেকে উদ্ধার নিখোঁজ স্কুল পড়ুয়ার দেহ
এলাকায় শোকের ছায়া
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩ সেপ্টেম্বরঃ একদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া স্কুল পড়ুয়ার দেহ বৃহস্পতিবার সকালে দামোদর নদী থেকে উদ্ধার হলো নিখোঁজ থাকা বছর ১০ এর ঐ স্কুল পড়ুয়ার নাম শুভদীপ দাস। আসানসোলের রানিগঞ্জের সাহেবগঞ্জ এলাকার এই ঘটনাটি ঘটেছে। দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রানিগঞ্জের বল্লভপুর ফাঁড়ি এলাকার সাহেবগঞ্জ বাইপাসের বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক প্রসন্ন দাসের ছেলে হলো শুভদীপ দাস। বুধবার সকাল থেকে সে খেলার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয়। তারপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বিকেল হয়ে গেলেও শুভদীপ বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের সাহায্যে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
পরিবারের তরফে রানিগঞ্জের বল্লভপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই ঘটনার কথা জানানো হয়। পুলিশ তদন্ত করতে এলাকায় আসে। এলাকার পুকুরের জলে শুভদীপ ডুবে যেতে পারে বলে একটা আশঙ্কা তৈরী হয়। সেইমতো এলাকার মৎস্যজীবীদের সাহায্য নিয়ে এলাকার ঐ পুকুরে শুভদীপের খোঁজে জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হয়।
বেশ কয়েক ঘন্টা খোঁজ ও তল্লাশি চালানোর পরে পুকুর থেকে কোন কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে সাহেবগঞ্জ লাগোয়া দামোদর নদীর জলে শুভদীপের অর্ধনগ্ন দেহ ভাসতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা বল্লভপুর ফাঁড়িতে জানালে পুলিশ এলাকায় আসে। পরিবারের সদস্যরাও খবর পেয়ে সেখানে আসেন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।
পুলিশ ঐ এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানতে পারে যে, শুভদীপ দাস তার এক বন্ধুর সঙ্গে বুধবার দুপুর নাগাদ দামোদর নদীতে স্নান করতে এসেছিলো। কিন্তু কোনভাবে শুভদীপ নদীতে ডুবে যায়। এই ঘটনার পরে তার বন্ধু ভয়ে কাউকে জানায়নি। সে নিজেও চুপচাপ থেকে যায়। শুভদীপের সঙ্গে ঐ বন্ধু কে ছিলো তা এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, এটি একটি নিছকই দূর্ঘটনা। তবুও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, ঐ বন্ধু কে ছিলো। জানা গেছে, শুভদীপ দাস রানিগঞ্জ খৃষ্টান প্রাথমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তো।