ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANFEATUREDधर्म-अध्यात्म

জিতাষ্ঠমীতেই দেবীর আবাহন

সালানপুরের পুইতণ্ডি পরিবারের এবার দুর্গাপুজো এবার ৪২ দিনের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১১ সেপ্টেম্বরঃ মহালয়া এখনও বাকি দিন ছয়েক। ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া। এই বছর দূর্গা ষষ্ঠী ২২ অক্টোবর। পঞ্জিকা মতে মহালয়া ৩৫ দিন পরে। তারই মধ্যে সপরিবারে মর্তে চলে এলেন মা দুর্গা।
আসানসোলের সালানপুরের এথোড়ার পুইতণ্ডি পরিবারের সদস্যরা দেবীর বোধন সারলেন শুক্রবার।

এই নিয়মেই এই পুইতুন্ডি পরিবারে দেবীকে আবাহন করা হয়। এই পরিবারে জিতাষ্টমীর পরের দিন দেবী দুর্গার আবাহন হয়ে আসছে আড়াইশো বছরের বেশি সময় ধরে।
পুজোর ৪২ দিন আগেই ছোট মায়ের (পুইতণ্ডি পরিবারের মা দূর্গাকে সবাই এই নামেই জানে ) পুজোতে বাজলো ঢাক। হলো ছাগ বলি। সঙ্গে সাজলো নৈবেদ্য । এদিন থেকেই সকাল ও সন্ধ্যা নিয়ম করে ঢাকি এসে ঢাক বাজিয়ে যাবে। দিনে দুবার এইভাবেই ঢাক বাজানোর রীতি।


এই পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডি বাড়ির আড়াইশো বছরের দূর্গা পুজো নিয়ে বলেন, পরিবারের পুজো কৃষ্ণ নবমী থেকে শুরু হয়। যা চলে শুক্লা নবমী পর্যন্ত। মূলতঃ রঘুনন্দন দুর্গোৎসব তত্ত্ব ও নান্দিকেশ্বর পুরাণ মতে পুজো করা হয়।

বোধন হওয়ার পর থেকেই নিত্যপুজো ও সন্ধ্যারতির মধ্যে দিয়ে দেবীর আবাহন সম্পন্ন হয়। আর মহালয়ার পর থেকেই প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী পর্যন্ত দুর্গাকে নিত্য নতুন দ্রব্যাদি উৎসর্গ করা হয়। আরো জানা যায়, তারপর সাধারণত যে নিয়মে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পুজো হয়ে থাকে, সেই নিয়মেই পুজো চলে পুইতণ্ডি পরিবারেও ।


আরো জানা গেছে, অষ্টমীতে ছাগ বলি করা হয়। নবমীতে এই পরিবারে মোষ বলির প্রথা এখনও চালু রয়েছে। পরিবারের মহিলারা অষ্টমীতে সারারাত জেগে থাকেন। অষ্টমীর খ্যানে তারা কাজল পড়েন। অষ্টপদের গান গাওয়ার রেওয়াজ আছে এখানে। এথোড়া গ্রামে এখন সবমিলিয়ে ৬২ টি পুইতণ্ডি পরিবার রয়েছে। সদস্য সংখ্যা সাড়ে ৫০০ র বেশী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *