অবৈধ নির্মাণ নিয়ে দ্বিচারিতার অভিয়োগ রেলের বিরূদ্ধে


বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, পশ্চিম বর্ধমান : পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল ট্রাফিক কলোনির পার্কের মাঠে বহু দিন ধরে কেরাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বৃষ্টির সময় বাচ্চাদের বহু অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয় এবং বাচ্চারা যাতে জামা কাপড় বদলাতে পারে সেকারণে বাচ্চা ছেলে মেয়েদের জন্য বানানো হয়েছিল একটি অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘর। শুধু মাত্র বাঁশ ও চাটাই দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ওই ঘরটি। বুধবার রেলওয়ে আধিকারিকেরা ওই ঘরটিকে অবৈধ নির্মাণ কারণ দেখিয়ে সেটিকে ভেঙে দিয়ে যান।

এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা অভিজিৎ বোস বলেন যে বাচ্চাদের জন্যে অস্থায়ী ঝুপড়ি করা হয়েছিল তার জন্য রেলওয়ে প্রশাসনের চোখে পড়ল, কিন্তু যে সমস্ত অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে বা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এলাকায় অনেকেই ঝুপড়ি ও ঘর আছে এগুলোর উপরে চোখ পড়েনি। এছাড়াও একটা বড় আলমারি ফ্যাক্টরি চলছে এই এলাকায়। কিন্তু এই ফ্যাক্টরির জন্য কোন পদক্ষেপ নেন নি।তারা যখন অবৈধ হিসেবে ওই ঝুপড়ি ভাংলেনই তাহলে যে সমস্ত অবৈধ নির্মাণ রয়েছে সেগুলো কেউ ভাঙতে হবে। এলাকার বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের মাথায় তুলে রেখেছেন রেলওয়ে আধিকারিকেরা এবং তাদের কাছ থেকে কাটমানি নিচ্ছেন। এসমস্ত ব্যাপার তারা বরদাস্ত করবেন না। সমিতি মেম্বার বিনোদ রাম বলেন রেলওয়ে প্রপার্টি উপর আলমারি ফ্যাক্টরি থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয়গুলি চিন্তা ভাবনা করতে হবে না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন।
এদিকে রেলওয়ে আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী রেলওয়ে সম্পত্তির উপর নতুন কোনো কনস্ট্রাকশন করা যাবে না যেমন রাতারাতি বা “এক- দুই” দিনের মধ্যে তৈরি হচ্ছে সেগুলো তারা ভেঙে দেবেন। এগুলো তাদের ডিউটির মধ্যেই পড়ে। এগুলো উচ্ছেদের জন্যে উচ্চপদস্থ আধিকারিক এর আদেশ ও নির্দেশ রয়েছে যেগুলি তাদের মেনে চলতে হবে। এছাড়া যেসমস্ত ইললিগাল কনস্ট্রাকশন বা অবৈধ নির্মাণ আছে যেগুলো “পাঁচ – দশ” বছর পুরনো সেগুলির বিরুদ্ধে চিঠির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ওই সমস্ত ইললিগাল কনস্ট্রাকশনকে উচ্ছেদ করা হবে ।