ASANSOL ম্যানেজারকে মারধরের অভিযোগ ঠিকাদারের উপর
বেঙ্গল মিরর, রিক্কী বাল্মীকি, কুলটি :- ASANSOL এর কুলটি (KULTI) থানার চৌরাঙ্গা ফাড়ীর অন্তর্গত কল্যানেশ্বরী ডিভিসি(DVC) সাব স্টেশনের ঠিকাদার সংস্থা এ টু জেড ইন্ফ্রা লিমিটেড নামক কোম্পানির কর্মীকে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে এলাকার পরিচিত ঠিকাদার রামচন্দ্র সাউ ও তার ভাই গোপাল সাউ এবং ছেলে বিজয় সাউ এর বিরুদ্ধে। খবর সূত্রে জানা যায় সাবস্টেশনে
এ টু জেড কোম্পানির কাছে পেটি কন্ট্রাকটার হিসাবে কাজ করে ছিলেন রামচন্দ্র সাউ।প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বিল আটকে পড়াতে কাজ বন্ধ করেদেন তিনি।
এরপর এ টু জেড ইন্ফ্রা লিমিটেড কোম্পানির কাজ করার জন্য রামচন্দ্র সাউয়ের সাথে তার বাকেয়া টাকা পয়সার জন্য চুক্তি পত্র করে তাতে কিস্তির মাধ্যমে মোট ৫০ লখ্য টাকার লিখিত চুক্তিপত্র করা হয়।
দুটি কিস্তির টাকা দেওয়া হলেও প্রায় ৩০লক্ষ টাকা কোম্পানির বকেয়া রয়েছে ঠিকাদার রামচন্দ্র সাউয়ের।
শেষ কিস্তি না দেওয়া সত্বেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।
এই প্রসঙ্গে আহত ব্যাক্তি এ টু জেড কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার জ্ঞান প্রকাশ যাদব জানান কাজের সাইডে জঙ্গল পরিস্কার করানোর জন্য শ্রমিক দের দিয়ে কাজ করানোর সময় গোপাল সাউ ,রামচন্দ্র সাউ ও বিজয় সাউ এসে গালি গালাজ করেন এরপর বাশ দিয়ে হাতে ও পাঁয়ে আঘাত করে তারপর আমাকে হুমকি দেওয়া হয় গেটের বাইরে বার হলে রামচন্দ্র সাউয়ের লোকজন গেটের সামনে আছে এখান থেকে মাইথন পর্যন্ত কে আছে তোকে বাচাবে আমাকে তিনি বলেন টিএমসি ও বিজেপি থেকে আমার সম্পর্ক আছে আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।
এরপরে চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে ডুবুরডি পর্যন্ত নিয়ে আসে তার পর ডিভিসির গাড়িতে করে ডিভিসির হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
কুলটি থানার চৌরাঙ্গী ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।প্রশাশনের কাছে আমার অনুরোধ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
অভিযোগ অস্বীকার
অপর দিকে রামচন্দ্র সাউ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি বলেন কোনো প্রকার মারধর করা হয়নি কোম্পানির লোকজনকে। তিনি আরো বলেন আমি আগে ৫০ লখ্য টাকার কাজ করেছিলাম তার মধ্যে কিস্তির মাধ্যমে ২টি কিস্তি দেওয়া হয়েছে,কিন্তু বর্তমানে কোম্পানির কর্তৃপক্ষের কাছে ৩০লখ্য টাকা বকেয়া রয়েছে। আমাকে চক্রান্ত করে ফোন করে ডাকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আমাকে বলা হয় বকেয়া টাকার হিসাব করা হবে, আমি গিয়ে দেখি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আমার টাকা না দিয়ে কাজ শুরু করেছে,যেহেতু কোম্পানির সাথে যে চুক্তি হয়েছে তাতে লিখা রয়েছে আমার সমস্ত টাকা দিয়ে দেওয়ার পর তারা কাজ শুরু করবে।আমি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বলি টাকা না দিয়ে কাজ কেনো করা হচ্ছে।
আমার বকেয়া টাকা না দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলায় আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের চক্রান্ত করে আইনি মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।মারপিট মতো কিছু হয়নি ওদের শরীরে লাগানো বেন্ডেজ খুলে দেখলে সত্যিটা প্রকাশ্যে চলে আসবে।আমি এই ঘটনা নিয়ে চৌরাঙ্গী ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছি আমার প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার বাকি পাওনা টাকা দিয়ে দেওয়া হোক।
চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।