জিতেন্দ্র তিওয়ারি চেয়ারম্যান বোর্ড অফ এডমিনিস্ট্রেটরস
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :*
আসানসোল কর্পোরেশনের বর্তমান বোর্ডের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পর বোর্ড চালাবে ৯ সদস্যের প্রশাসক সম্বলিত বোর্ড। প্রশাসকীয় বোর্ড। এই বোর্ডের চেয়ারমেন হলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস এ মেম্বার হলেন অমরনাথ চ্যাটার্জী, পূর্ণশশী রায়,
অভিজিৎ ঘটক,অশোক রুদ্র, অঞ্জনা শর্মা, মীর হাসিম, দিব্যেন্দু ভগৎ ও শ্যাম সোরেন।
এরপর নতুন করে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হয়ে কর্পোরেশনের দায়িত্ব কে সামলাবেন সেই বিষয় নিয়ে আসানসোলের রাজনৈতিক মহলে চর্চা ছিল তুঙ্গে।
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আসানসোল করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করা হল।
কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই হবে।
কলকাতাসহ সমস্ত কর্পোরেশনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে যারা থাকবেন তা রাজ্য সরকার ঘোষণা করে দিয়েছে। সে কারণেই কর্পোরেশনের কামান এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এর হাতেই রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হল।
২০১৫ সালের ১৫ ই অক্টোবর বর্তমান কর্পোরেশনের বোর্ড গঠিত হয়
বর্তমান বোর্ড ১৫ ই অক্টোবর ২০১৫ গঠিত হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলের প্রথম হিন্দিভাষী মেয়র হিসাবে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দায়িত্ব দেন। ১৫ ই অক্টোবর মেয়রসহ ১০৬ জন কাউন্সিলর শপথ গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে বোর্ডের মেয়াদও এ বছর শেষ হতে চলেছে। ১৫ ই অক্টোবর বর্তমান বোর্ডের মেয়াদকাল শেষ হবে। এই পাঁচ বছরে অনেক উত্থান-পতন এবং রাজনৈতিক উত্থান-পতন হয়েছে। এদিকে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের এক ডজন কাউন্সিলরকে টিএমসিতে যোগদান করিয়ে বিরোধী শিবিরে আমূল পরিবর্তন আনেন। তবে এই পাঁচ বছরে প্রচুর ঐতিহাসিক কাজও করা হয়।
দিদির আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে তাঁর টিমের কাজে তিনি সন্তুষ্ট, জনগণের মূল্যায়ন করা উচিৎ: জিতেন্দ্র তিওয়ারি
মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন যে, দিদি যখন তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন তখন তিনি নিজেই এই দায়িত্বটি কীভাবে পরিচালনা করবেন তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে তিনি তাঁর দলের মেয়র ইণ কাউন্সিল সদস্য , কাউন্সিলর এবং দিদির আশীর্বাদ নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন। আজ তিনি কাজের গতি প্রকৃতিতে সন্তুষ্ট, তবে জনগণই আসল মূল্যায়ন করবে। তাঁর নেতৃত্বে কয়েক দশক ধরে কুলটির জলের চাহিদা পূরণ হয়েছে।
আজ কুলটির হাজার হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে যাচ্ছে। আসানসোল ও বার্নপুর, রানীগঞ্জ ও জামুরিয়ায় আগামী কয়েক দশক ধরে জলের সমস্যা হবে না, এজন্য পৃথক জল প্রকল্পের কাজ চলছে। ২৪ ঘন্টা জল সরবরাহ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ চলছে। আজ ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স অনলাইনে করা হয়েছে। আসানসোল কর্পোরেশন সদর দফতরে অফিস বিল্ডিংয়ের সমস্যা ছিল, সেখানে নতুন ভবন এবং গ্র্যান্ড অডিটোরিয়ামও নির্মিত হয়েছে। আসানসোলের জন্য দিদিকে কিছু চাইলে তিনি কখনও কিছুতে না করেননি।