ASANSOLNewsPolitics

কেন্দ্র এবং রাজ্য কে নিশানা করে বাম ও কংগ্রেসের জোটবদ্ধ মিছিল আসানসোলে

আসানসোল বেঙ্গল মিরর সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : ১৬ টি বামপন্থী দল এবং কংগ্রেস সারা রাজ্য জুড়ে রেশন দুর্নীতি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও চড়া বিদ্যুৎ বিল মকুবের দাবিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করে একজোট হয়ে রাস্তায় নামে।
আসানসোলে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় গির্জা মোড় থেকে ঊষাগ্রাম দুর্গা মন্দির পর্যন্ত একটি বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলে প্রায় দু হাজার মানুষের সমাবেশ হয়।


মিছিলে বাম মহিলা সংগঠন থেকে শুরু করে কংগ্রেসের যুব সংগঠন সবাইকেই হাঁটতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে সিপিআইএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ” কোন ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনে মানুষ অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত। বাম সংগঠন থেকে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল গরীব মানুষের কাছে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে দেবার জন্য তাতে বাজারের অর্থনীতি চাঙ্গা হতো।

কিন্তু কেন্দ্র সরকার তা করেনি অপরদিকে রিলায়েন্স গোষ্ঠী সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা মুনাফা লাভ করেছে এই পরিস্থিতিতে একদিকে দুর্যোগ অন্যদিকে লাভ এর মধ্যে দিয়ে ভারত এগোচ্ছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিল মকুব করার জন্য কিন্তু রাজ্য সরকার তা করেনি। রেশন থেকে শুরু করে চারিদিকে দুর্নীতি, রাস্তাঘাট জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।

এরকম অবস্থায় বামপন্থী দলগুলো এবং কংগ্রেস একত্রিত হয়ে রাস্তায় রাজ্যজুড়ে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছে। এরই সঙ্গে তিনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এবং কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি দুটিকেই সাম্প্রদায়িক বলে অভিহিত করেন।

এদিকে সিপিএম নেতা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন,” কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বেকার যুবকরা চাকরি পাচ্ছেন না, রেশন কার্ডের সমস্যা দেখা দিয়েছে

তোলাবাজি এবং মাফিয়া তন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ

অন্য জায়গাতে আদিবাসী তপশিলি জাতি এবং উপজাতির ওপরে অত্যাচার হচ্ছে। সারাবাংলায় তোলাবাজি এবং মাফিয়া তন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এসবের বিরুদ্ধে এই সমস্ত ব্লক এর উত্তরে এবং সারা রাজ্যে কংগ্রেস এবং সিপিএম একজোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।


এদিকে শাসক দল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে বাম এবং রাম এক হয়ে গেছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী বলেন, “বাম এবং রাম এক হয়ে যাবার কোন প্রশ্নই নেই।

বামপন্থীরা বরাবরই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং যেকোন ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতায় বাড়াচ্ছে এবং অন্যদিকে বিজেপির জমি উর্বর করছে।

শাসক দল রাজ্যে মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ করেন।

এদিন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তরুণ রায় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতির কথা বলেন এবং গ্রামের এর সঙ্গে একজোট হয়ে লড়াই করার কথাও বলেন। এদিন বিকেলে এই মিছিলকে কে কেন্দ্র করে বেশ কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হলেও পুলিশের তৎপরতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই যানজট কেটে গিয়ে পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *