Asansol-Durgapur ৭ দিনে Corona আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু
মৃত চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মী / আক্রান্ত ৬১৫ জন
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৭ অক্টোবরঃ দূর্গাপুজো শুরুর ঠিক আগের সপ্তাহে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ( Asansol-Durgapur ) করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরো ১০ জনের মৃত্যু হলো। নতুন করে গত সাতদিনে ( ১০ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর) ৬১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সাতদিনে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪৫ জন। এই সময়ের মধ্যে জেলায় এ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬০ জন বেড়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ১০ অক্টোবর রাত পর্যন্ত এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ৮০।
১৬ অক্টোবর শুক্রবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন বেড়ে হয়েছে ৯০। যারমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ অক্টোবর জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো ৮০৩১ জন। ১৬ অক্টোবর রাত পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ৮৬৪৬ জন। একইভাবে ১০ অক্টোবর জেলায় করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া রোগীর সংখ্যা ছিলো ৭১১৬ জন।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৫৬১ জন। ১০ অক্টোবর রাত পর্যন্ত জেলায় এ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ছিলো ৮৩৫ জন। শুক্রবার রাত অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর রাত পর্যন্ত জেলায় এ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৯৫ জন। এই সাতদিনের মধ্যে দুদিন বাদ দিলে, পাঁচ দিনে আক্রান্ত ও সুস্থতার সংখ্যা বলতে গেলে প্রায় সমান।
অন্যদিকে, দূর্গাপুরের কোভিড ১৯ হাসপাতালে শনিবার সকালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক রেল কর্মীর। বছর ৪৫ এর ইউসি ওঝা নামে ঐ রেল কর্মী চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার স্টিল ফাউন্ড্রিতে কাজ করতেন। গত ১৫ দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। এদিকে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সস্ত্রীক এদিন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হোম আইসোলেশানে আছেন৷
সেফ হোমের সংখ্যাও বাড়ানো হবে
আগামী সপ্তাহে শুরু হবে দূর্গাপুজো। তার আগে জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ও মৃত্যু কিছুটা হলেও বেড়েছে। যদিও জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সবকিছুই এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। হাসপাতালে হাসপাতালে বেড নিয়ে কোন সমস্যা এখনো পর্যন্ত নেই। প্রয়োজন হলে, তা বাড়িয়ে নেওয়া হবে। সেফ হোমের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। দিন তিনেক আগেই গোটা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অশ্বিনী কুমার মাজি। তারা জানিয়েছেন, প্রয়োজন মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈনও ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন পুজো মন্ডপ ঘুরে দেখেছেন। করোনা সংক্রমণ আটকাতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে, তা নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের অবহিত করেছেন।