ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতির নির্দেশ
বেঙ্গল মিরর, রাজা ব্যানার্জি, আসানসোল : চিত্তরঞ্জনের রেল কর্মীদের ৫৫ বছরের আন্দোলন এবং সর্বোপরি উচ্চ আদালতের নির্দেশে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা এবং কাপূর্থালা রেল কোচ কারখানা ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে নির্দেশ পাঠালো রেলওয়ে পর্ষদ বা রেল বোর্ড।
এই চিঠিতে রেলওয়ে বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতির বিষয় ২৭ অক্টোবর থেকে ৫নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে। এরপরই সম্ভবত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বহু আকাঙ্ক্ষিত সেই ভোট পর্ব সম্পন্ন হবে।
রেল পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চিত্তরঞ্জনের শ্রমিক সংগঠনগুলো স্বাগত জানিয়েছে। উল্লেখ্য ভারতবর্ষের কোনও রেল কারখানাতেই স্বীকৃত ইউনিয়ন বলে এতবছর কিছুই ছিল না। ইউনিয়নের স্বীকৃতি ছিল কেবলমাত্র জোনাল রেল গুলিতেই।
সিটু অনুমোদিত লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজিব গুপ্ত এবং রেল ইউনিয়নের সর্বভারতীয় নেতা নির্মল মুখোপাধ্যায় জানান লেবার ইউনিয়ন এর ডাকে ১৯৬৫ সালে গোপন ব্যালটে ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে দেশব্যাপী সাড়া ফেলে দেওয়া রেলওয়ে ধর্মঘট হয়েছিল।
কিন্তু রেলওয়ে বোর্ড বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেছিল। তারপরেও বড় ধরনের বেশ কয়েকটি আন্দোলন হয়। এরপর দীর্ঘ কয়েক দশক পরে ২০১৩ সালে লেবার ইউনিয়ন বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৭ সালে হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চ ইউনিয়নের পক্ষেই রায় দেন। কিন্তু এরপরও বিষয়টিকে মেনে না নিয়ে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখেন।
রাজিব গুপ্ত বলেন শেষমেষ রেলওয়ে বোর্ড গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়ায় আশা করা যাচ্ছে বিষয়টি এবার চূড়ান্ত রূপ পাবে।