সিআইএসএফের ভূমিকাই ধোঁয়াশার মধ্যে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : অবৈধ কয়লা কারবার সম্পর্কে সিবিআই কলকাতা এসিবি সুপার বিশ্বজিৎ দাসের দায়ের করা এফআইআর-এ সিআইএসএফ( CISF) যেভাবে অবৈধ কয়লা ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছে সেটি দেখে মনে হচ্ছে সিআইএসএফের পুরো ভূমিকাই ধোঁয়াশা – র মধ্যে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে সিআইএসএফ দ্বারা পরিচালিত অভিযানগুলি কি কেবল দেখানোর জন্য হত অর্থাৎ পুরোটাই আইওয়াশ ( eyewash)?
যুব তৃণমূল জেলা সভাপতিও সিআইএসএফ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন
কিছুদিন আগে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রূপেশ যাদবও সিআইএসএফকে কয়লা চুরির জন্য দায়ী করে সংবাদ সম্মেলনে গুরুতর অভিযোগ করেন। সংগঠিত কয়লা লুটের মামলায় সিআইএসএফের অজ্ঞাতপরিচয় আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও এখন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা এই অভিযোগকে আরও জোরদার করছে। সিআইএসএফের পাশাপাশি সিবিআই ইসিএলের সুরক্ষা বিভাগের উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখে তদন্ত প্রক্রিয়ার জাল গুটোতে শুরু করেছে। ই সি এল এর সিকিউরিটি চিফ তন্ময় দাস এই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। অভিযুক্ত হিসাবে স্থানীয় সিকিউরিটি ইনচার্জকেও নামকরণ করা হয়েছে। আর এর পরেই ইসিএলের পুরো সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এরইসঙ্গে জনগণের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, সরকার যখন এই সমস্ত আধিকারিক ও কর্মচারীকে প্রতিমাসে বেতন দেয়, তখন কেন এই আধিকারিক ও সরকারী কর্মচারীরা এই ধরণের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন? এই সমস্ত মানুষ কিছু টাকার লোভে জাতীয় সম্পত্তি লুঠ করতে দেয় যা দুর্ভাগ্যজনক।