কয়লা চুরি ও বেআইনি কারবার : ইসিএলের ভিজিলেন্সকে নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত
আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২ ডিসেম্বরঃ সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের দুই সংস্থা আয়কর দপ্তর ও সিবিআই বলতে গেলে একসঙ্গে ইসিএলে কয়লা চুরির পাশাপাশি অবৈধ কয়লা খনি ও কয়লা পাচার নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তারমধ্যে আবার সিবিআই ও ইসিএলের ভিজিলান্সের আধিকারিকদের দল একযোগে ইসিএলের চার জেনারেল ম্যানেজারের অফিসে মঙ্গলবার সকালে আসে। এদিন বিকেল পর্যন্ত একসঙ্গে সিবিআই ও ভিজিলেন্স তদন্ত করে।
জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করেন
জানা গেছে, এদিন ইসিএলর সদর দপ্তরে জেনারেল ম্যানেজারের (সেফটি) দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের অফিসের সামনে সকাল সাড়ে নটা থেকে তিনজন সিবিআইয়ের আধিকারিক পৌঁছে যান। পরে ঐ আধিকারিক
অফিসে এলে তারা অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একইভাবে এদিন ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া, ঝাঁঝরা ও পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া অফিসে ইসিএলের নিজস্ব ভিজিলেন্স আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সিবিআই হানা দেয়। সেখানে তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দু/একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করেন ।
এরপরে তারা ইসিএলের সদরদপ্তরের মুখ্য সিকিউরিটি অফিসার তন্ময় দাসের ( এই অফিসারের নাম সিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে আছে) দপ্তরেও যান। কিন্তু জানা যায় তিনি আগেই তো ইসিএল থেকে বদলি হয়ে রাঁচিতে চলে গেছেন। তবে তাকে এখনও ইসিএল থেকে রিলিজ করা হয়নি। বর্তমানে তিনি তার পরিবারের একটি অনুষ্ঠানের জন্য ছুটিতে আছেন বলে জানা গেছে ।
সিবিআই ও ভিজিলেন্স এদিনের তদন্তে ও জিজ্ঞাসাবাদে কি পেয়েছে তা নিয়ে ইসিএলের পক্ষ থেকে বা কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে কেউ কোন মন্তব্য করেননি। তবে ইসিএলের এক ডিরেক্টর এদিন স্বীকার করেন যে একাধিক জায়গায় তল্লাশি হয়েছে ।
প্রসঙ্গতঃ, ইসিএলের ২ জন জিএম সহ ৫ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই । বেআইনি কয়লা খনি আটকাতে না পারা ও কয়লা চুরি, দুর্নীতির কারণে
এফআইআরটি ২৭ নভেম্বর নথিভুক্ত করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে । তার ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতেই গত শনিবার অভিযান চালানো হয়েছিল। ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার প্রাক্তন ও পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার একে ধর, কাজোরা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার জেসি রাই, সংস্থার সদ্য বদলি হওয়া চিফ সিকিউরিটি অফিসার তন্ময় দাস, কাজোড়া এরিয়া সিকিউরিটি ইনচার্জ দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ও কুনস্তোরিয়ার সিকিউরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলাটি দায়ের করেছে। তারমধ্যে শনিবার ইসিএলের অভিযানের সময়ই ধনঞ্জয় রায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।