দমদম এয়ারপোর্টের মতো গুরুত্ব বাড়বে অন্ডাল বিমানবন্দরের
অন্ডাল বিমানবন্দরে শেয়ার বাড়ছে রাজ্যের,ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৮ ডিসেম্বরঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালের কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে শেয়ার বাড়ছে রাজ্য সরকারের। এতোদিন এখানে রাজ্যের শেয়ার ছিলো ২৬ শতাংশ। সেই শেয়ার বেড়ে হচ্ছে ৪৮ শতাংশ। মঙ্গলবার বিকালে আসানসোলের রানিগঞ্জের জেলা প্রশাসনের সভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অন্ডাল বিমানবন্দরে শেয়ার বাড়ার কথা জানান রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়।
এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অন্ডাল বিমানবন্দর তৈরীতে জমি যাওয়া জমিদদাতাদের হাতে জমির পরিবর্তে জমির কাগজ ও আর্থিক ক্ষতি পূরণ তুলে দেন।
তিনি বলেন, অন্ডাল বিমানবন্দরের জন্য জমি নেওয়ার সময় একটা চুক্তি হয়েছিলো জমিদাতাদের সঙ্গে। তখন রাজ্যের আমাদের সরকার ছিলোনা।
ক্ষমতায় আসার পরে আমরা জানতে পারি যে, জমি দেওয়া নিয়ে এখানে একটা সমস্যা আছে৷ জমিদাতাদের বেশকিছু দাবি আছে। যা তারা পায়নি। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে, সেই দাবি পূরণ করার পাশাপাশি তাদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করি। এখানে ৫৮২৪ জন জমি দিয়েছিলো। তারমধ্যে যারা ৩৩ ডেসিমেলের জমি দিয়েছেন তাদেরকে জমির পরিবর্তে জমি দেওয়া হবে। আর যারা তার নিচে জমি দিয়েছে তাদেরকে আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে। যেমন চুক্তিতে বলা হয়েছিলো।
১৫২৯ জনকে জমি ও ২১৪৩ জনকে আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়া হলো
এদিন সরকারের তরফে ১৫২৯ জনকে জমি ও ২১৪৩ জনকে আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়া হলো। বাকিদেরও দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা এই বিমানবন্দরের নাম কবি কাজি নজরুল ইসলামের নামে করি। একটা সময় কলকাতার দমদম এয়ারপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই অন্ডালের বিমানবন্দর। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল করবে। কেননা, এটা মনে রাখতে হবে যে, সব বিমানবন্দরের একটা আয়ু থাকে। তারপর তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
এই অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে দেশবিদেশের বিমান বেশি করে উড়া শুরু করলে, এই এলাকার আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আরো বলেন, এই বিমানবন্দরকে সামনে রেখে একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হচ্ছে। যার চেয়ারম্যান হবেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। কমিটিতে অন্যদের মধ্যে থাকবেন ডবলুবিআইডিসি ও যে সংস্থা এখন বিমানবন্দর চালাচ্ছে তাদের প্রতিনিধিরা। তারা যৌথ ভাবে সব কিছু খতিয়ে দেখবে। কিভাবে এই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হন ও কর্মসংস্থান বাড়ে তা কমিটি দেখবে।
এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, দেরীতে হলেও, ওনার যে চোখ খুলেছে, এটা দেখেও ভালো লাগছে। একটা সময় তো এই বিমানবন্দর থেকে তেমনভাবে বিমান উড়তো না। আমি আসানসোলের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়ে এই বিমানবন্দর থেকে বেশ কয়েকটি রুটে উড়ানের ব্যবস্থা করি। এখন সেগুলো চলছে। আরো যদি বেশি করে বিমান উড়ে তাহলে তো ভালো। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বলেন, কমিটি করা নিয়ে এখানেও মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করেছেন। এলাকার সাংসদ হিসাবে আমাকে কমিটিতে রাখা উচিত ছিলো।