ASANSOLBengali NewsLatestNewsPolitics

আসানসোলে জেলা বিজেপি কার্যালয়ের দ্বারোদঘাটন করলেন জেপি নাড্ডা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৯ ডিসেম্বরঃ আসানসোলের ২ নং জাতীয় সড়কের পাশে কাল্লা মোড়ে আসানসোল জেলা বিজেপির কার্যালয় তৈরী হয়েছে। বুধবার দুপুরে কলকাতা থেকে ভার্চুয়াল আসানসোলের জেলা বিজেপির কার্যালয়ের দ্বারোদঘাটন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এই উপলক্ষে আসানসোলের জেলা কার্যালয়ে এদিন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দোপাধ্যায়।

এছাড়াও ছিলেন জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, জেলা সহ সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী, জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবরাম বর্মন, রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অরিজিৎ রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর আশা শর্মা, ভৃগু ঠাকুর সহ অন্যান্যরা।

জেলা কার্যালয়ের দ্বারোদঘাটন উপলক্ষে আসানসোলের জেলা কার্যালয়ে এদিন সকাল থেকে বিশেষ পুজো অর্চনার আয়োজন করা হয়। কলকাতার অনুষ্ঠানে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন অফিস সহ রাজ্যের নয়টি জেলায় দলের জেলা কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বারোদঘাটন করেন। এরপর আসানসোলে দলের জেলা কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন রাজু বন্দোপাধ্যায়।


পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তৃনমুল কংগ্রেস ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন। মঙ্গলবারই রানিগঞ্জের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, কেন্দ্র সরকার ইসিএলের কোলিয়ারি, সেল সহ দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাকে হয় বিক্রি করে দিচ্ছে, নয় বেসরকারিকরণ করছে।

বাংলাকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন

এই প্রসঙ্গে রাজু বন্দোপাধ্যায় আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দোপাধ্যায়কে এইসব নিয়ে ভাবতে হবে না। তিনি তো বাংলাকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আছেন। তিনি অনেক অভিজ্ঞ। তিনি সেইসব ভাববেন৷ মমতা বন্দোপাধ্যায় এখন নিজেকে ও ভাইপোকে বাঁচানোর কথা ভাবুন। মমতা বন্দোপাধ্যায় তো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ভাবুন।

এদিন রাজু বন্দোপাধ্যায় তৃনমুল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংবাদিকদের সম্পর্কে মন্তব্য করা নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দা করেন। তিনি বলেন, তৃনমুল কংগ্রেস দলটাই তো এইরকম। তাদের কাছ থেকে কি আর আশা করা। মুখ্যমন্ত্রী এই কথার কিন্তু কোন প্রতিবাদ করেননি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতজন সাংবাদিককে পিটিয়ে ছিলো, সবার তা জানা আছে। এই দল কাউকে সম্মান দিতে জানেনা। বাংলার মানুষেরা ঠিক সময়ে এর জবাব দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *