বাপের বাড়িতে উনুনে আগুনে পুড়ে মৃত্যু এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর, পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত ২
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২২ ডিসেম্বরঃ বাপের বাড়িতে এসে রান্না করার সময় উনুনের আগুন পুড়ে মৃত্যু হলো এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। আসানসোলের কুলটি থানার গাঙ্গুটিয়ার বাসিন্দা মৃত গৃহবধূর নাম টুম্পা বাউরি (২৫)। মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্টের ভিত্তিতে গৃহবধূর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে কুলটির সবনপুরের টুম্পা বাউরির সঙ্গে গাঙ্গুটিয়ার ভরত বাউরির বিয়ে হয়। দিন কয়েক আগে টুম্পা বাপের বাড়িতে আসে। অন্যদিনের মতো সোমবার সকালে বাড়িতে উনুনে রান্না করছিলো টুম্পা। আচমকাই উনুনের আগুন তার গায়ে লেগে যায়। তার চিৎকার শুনে বাইরে থাকা বাড়ির লোকেরা দৌড়ে আসেন। আগুন নিভিয়ে তারা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, বাপের বাড়ি থেকে কোন অভিযোগ করা হয় নি। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে ।
অন্ডালে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির
রেললাইন পার করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের অন্ডাল স্টেশনের কাছে। অঙ্গাত পরিচয় মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে অঙ্গাত পরিচয় ঐ ব্যক্তি অন্ডাল স্টেশনের কাছে রেললাইন পার করছিলেন। সেই সময় একটি ট্রেনে কাটা পড়েন ও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
জামুড়িয়ায় ২ নং জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু
রাস্তা পার করার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হলো এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুরের ২ নং জাতীয় সড়কে। রানিগঞ্জ থানার চলবলপুরের বাসিন্দা মৃত যুবকের ঝন্টু মাঝি (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে ঝন্টু মাঝি আসানসোলের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুরে ২ নং জাতীয় সড়ক রাস্তা পার করছিলো। সেই সময় কোন গাড়ি তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই পুলিশ মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের জানায়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকেরা জেলা হাসপাতালে আসেন। দুপুরে মৃতদেহর ময়নাতদন্তের পরে তা পুলিশ পরিবারের হাতে তুলে দেয়।