ASANSOLBengali NewsPoliticsRANIGANJ-JAMURIA

২০২১ সালের পরে তৃনমুল কংগ্রেস বলে কোন দলই থাকবে না : অগ্নিমিত্রা পাল

কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করে তৃনমুল কংগ্রেসের সমালোচনা বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৫ ডিসেম্বরঃ কেন্দ্র সরকারের আনা কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আরো একবার সমালোচনার সুরে আক্রমণ করলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। শুক্রবার তিনি আসানসোলের রানিগঞ্জ ব্লকের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুপুর গ্রামে যান। সেখানে তিনি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন পালন করেন।

রানিগঞ্জের গ্রামের কৃষক পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলেন

পরে তিনি তাদের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মতি নিধি প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শোনেন। সেখানে তিনি কেন্দ্র সরকারের আনা কৃষি আইনের পক্ষে জোর সওয়াল করেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব মানুষের কথা বলেন ও তাদের জন্য ভাবেন। কৃষক ও চাষীদের কথা ভেবে তিনি কৃষি আইন করেছেন। আগে যেসব দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিলো, তারা কৃষকদের জন্য কিছু ভাবেনি। তাদেরকে নিয়ে শুধু রাজনীতিই করেছে। বিজেপি কিন্তু তা করেনি।

যারা কৃষক দের কথা ভাবেনা, সেই সব দল ও রাজ্য সরকার এই বিলের বিরোধিতা করছে। যার অন্যতম হলো এই রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী বলেন, আসল কথা হলো এই বিল বা আইন কৃষক বিরোধী নয়। তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী। কেননা, এই আইন চালু হলে, কৃষকরা লাভবান হবেন। তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পাবেন। তারা নিজেদের মতো করে তা বিক্রি করতে পারবেন৷ তাদেরকে ফড়ে ও দালালদের খপ্পরে পড়তে হবে না। আর এখানেই তৃনমুল কংগ্রেসের সমস্যা। তার কারণ হলো, তাদের কাটমানি বন্ধ হয়ে যাবে।

চাষীরা তাদের জিনিসের অর্ধেক দাম পান

এই রাজ্যে কৃষক ও চাষীরা তাদের জিনিসের অর্ধেক দাম পান। বাকি ৫০ শতাংশ কালিঘাটে যায় ও ৫০ শতাংশ ফড়েরা পকেটে ঢোকায়। এই আইনে এইসব বন্ধ থাকবে যাবে। তাই এতো বিরোধিতা। যে কারণে বারবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলছেন, কৃষকদের কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হোক। যাতে সেই টাকা থেকে তারা কাটমানি নিতে পারে। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কোন প্রকল্প কার্যকর করতে দিচ্ছেন না। তাই বাংলার মানুষেরা সেগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


বৃহস্পতিবার আসানসোলের সিপিএমের এক সভা থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্য্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, এবারের বিধান সভার নির্বাচনে আমাদের বিজেমূলের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে হবে। কেন না এখন কে বিজেপি, কে তৃনমুল কংগ্রেস তা বোঝা যাচ্ছে না।

এর উত্তরে অগ্নিমিত্রা পাল এদিন বলেন, উনি ভাবতেই পারেন এমন কথা। কিন্তু এতটুকু বলতে পারি, তৃনমুল কংগ্রেস ও বিজেপি কোনদিন এক হবেনা। কারণ ২০২১ সালের পরে তৃনমুল কংগ্রেস বলে কোন দলই থাকবে না। উঠে যাবে। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পাপিয়া পাল, সাধারণ সম্পাদক পারমিতা পট্টনায়ক, রানিগঞ্জ মন্ডলের বানি চক্রবর্তী, সন্দীপ গোপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *