রানীগঞ্জের এগারা পঞ্চায়েতে এক্সিকিউটিভ অফিসার কে কাজে যোগ দিতে বাধা,তৃণমূলের দুই দলের সদস্য বিবাদে জোড়ালো
বেঙ্গল মিরর, দীপ রঞ্জন ব্যানার্জি, রানিগঞ্জ: রানীগঞ্জের এগারা পঞ্চায়েতে এক্সিকিউটিভ অফিসার কে কাজে যোগ দেওয়ার বাধার কারণ ঘিরে, তৃণমূলের দুই দলের সদস্য বিবাদে জোড়ালো সোমবার। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় , সোমনাথ চন্দ্র নামের বিডিও দপ্তরে নিয়োজিত এক এক্সিকিউটিভ অফিসার গত 14 ডিসেম্বর এগারা গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ পান,সেইমত তিনি কাজে যোগ দিতে এলে তাকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এদিন প্রধান উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েতের 10 সদস্য ওই এক্সিকিউটিভ অফিসার কে দপ্তরে কাজ করতে বাধা দেয় বলেই অভিযোগ। আর এ বিষয়ে জানার পরপরই পঞ্চায়েতের চার সদস্য ও স্থানীয় বেশকিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক ওই অফিসার কে অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার দাবি তুলে পঞ্চায়েত কার্যালয় বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। উত্তেজনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এই বিষয়টিকে ঘিরে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
যদিও এসবের মাঝেই পঞ্চায়েত প্রধান রিনা দাস মন্ত্রি মলয় ঘটকের প্রসঙ্গ উপস্থাপন করে দপ্তর ছেড়ে চলে যায়, এরপরই পঞ্চায়েতের সদস্য অশোক হেলা সহ বেশকিছু জন তৃণমূল কর্মী পঞ্চায়েত প্রধানের দপ্তর বন্ধ করে দেয়। যদিও এ বিষয়ে উপপ্রধান পঞ্চায়েত সদস্য অশোক হেলার সহ বেশকিছু তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলে। একইভাবে পঞ্চায়েতের প্রধান রিনা দাস তার বাড়ি পৌঁছে তার সাথে অশালীন আচরণ করা হয়েছে বলে দাবি করে তার বক্তব্যে। যদিও এসকল বিষয়গুলিকে সঠিক নয় বলে দাবি করে পঞ্চায়েত সদস্য অশোক হেলা জানান মমতা ব্যানার্জির দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে কার্যকর করার জন্য তারা বিশেষভাবে উদ্যোগ নিচ্ছেন, এ সময় পঞ্চায়েতের কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার কে ফিরিয়ে দিয়ে কাজে দেরী করা হচ্ছে, যার ফলে অনেকেই নিজেদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন বলেই দাবি করেন।
এই সকল ঘটনাক্রম চলার সময় পঞ্চায়েত দপ্তরে এসে হাজির হন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যে অফিসার কে সেখানে কাজ দেওয়া হয়েছিল তাকে সেখানে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। সোমবারের এই দীর্ঘ টানাপোড়েনের জেরে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। যদিও যাকে নিয়ে এই সমস্ত ঘটনা সেই সোমনাথ চন্দ্র অবশ্যই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।