গ্যাস ও পেট্রো পন্যের দাম বৃদ্ধিতে, আন্তর্জাতিক বাজারের সাফাই দিলেন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান
রবিবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ৫ ফেব্রুয়ারিঃ বলতে গেলে প্রতিদিন পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। একই পথে হাঁটছে রান্নার গ্যাসও। কার্যত নাভিশ্বাস অবস্থা আমজনতার। রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস থেকে কংগ্রেস সহ দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল একযোগে বিজেপিকে আক্রমণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হলদিয়ায় তিনি একটি অনুষ্ঠানে চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।




এবারের বাজেটে কেরোসিন তেল থেকেও ভর্তুকি তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার । আর এই ভর্তুকি তুলে নেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী বলার পরেই বিরোধীরা কটাক্ষ করা শুরু করেছেন।
শুক্রবার দূর্গাপুরে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠান সবিস্তারে জানানোর জন্য এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য প্রান্তের রাজ্য গুলিতে গ্যাসের পাইপলাইন আছে। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে তেমনভাবে নেই। এবার তারজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন।
রবিবার তিনি যে চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন, তারজন্য খরচ হবে ৪৭০০ কোটি টাকা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য। এতে কেন্দ্র সরকারের কিছু করার নেই। আমি নিজে এরজন্য ওপেকের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো ঝগড়া করেছি। সব মানুষদের দিতে গেলে, এটা হতেই পারে। কেরোসিন তেলে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার পক্ষে মন্ত্রীর যুক্তিতেও বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, কেরোসিন তেলের বিকল্প হিসাবে বিদ্যুৎ ও রান্নার গ্যাস এসেছে। এরজন্য কেরোসিন তেলের উপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়া হয়েছে ।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এদিন আরো বলেন, দেশের ৮ কোটি মানুষ উজালার গ্যাস পেয়েছেন। এই রাজ্য তারমধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ এই প্রকল্পের লাভ পেয়েছেন।