আসানসোল নর্থ ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা অভিযান
৩২ তম রোড সেফটি মান্থ এর শেষ দিনে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল , সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
বুধবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত আসানসোল নর্থ ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে ৩২ তম রোড সেফটি মান্থ এর শেষ দিনে জনসচেতনতা প্রচার চালানো হলো। ১৮ ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল রোড সেফটি মান্থ। আসানসোল কাল্লা মোড় সংলগ্ন চৌরাস্তা ক্রসিংয়ে ট্রাফিক কিয়স্ক থেকে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা এসিপি ট্রাফিক সুকান্ত ব্যানার্জির উপস্থিতিতে হেলমেট এবং মাস্ক বিতরন করেন।
এছাড়া জন সচেতনতার জন্য বিভিন্ন গাড়িতে “সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ” স্টিকার লাগানো হয়। এরপর কাল্লা মোড় থেকে জুবিলী মোড় পর্যন্ত ২ নম্বর জাতীয় সরকার ধারে সমস্ত হোটেল ও ধাবার কর্মী ও গ্রাহকদের সতর্ক করা হয় যাতে তারা যত্র তত্র পার্কিং না করেন এবং সমস্ত ট্রাফিক নিয়মবিধি মেনে চলেন। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রচার অভিযান চালানোর সময় পুলিশকর্মীদের মধ্যে থেকে উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক গার্ড ওসি অর্ণব মন্ডল, গৌতম চক্রবর্তী, সুদীপ রায়, রবি দাস প্রমুখ।
গাড়ী চালকদের জন্য প্রয়ােজনীয় নির্দেশাবলী সম্বলিত লিফলেট বিলি করা হয়।
লিফলেট সম্বলিত নির্দেশিকার মাধ্যমে বলা হয় :
ড্রাইভিং লাইসেন্স সর্বদা সঙ্গে রাখতে , অবশ্যই হেলমেট পড়তে এবং সহযাত্রীকেও পড়তে বলা হয় ,দুইজনের বেশি তিনজন কখনােই বাইকে যাতে না ওঠেন, গাড়ীর বৈধ কাগজপত্র সবসময় সঙ্গে রাখতে, স্থানে ও উপযুক্ত আকৃতিতে নাম্বার প্লেট লাগাতে, অবশ্যই মদ্যপান করে বা কোনো প্রকার নেশার বস্তু গ্রহণ করে গাড়ী চালানাে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ , এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, অযথা দ্রুতগতিতে গাড়ী যাতে কেউ না চালান ,সর্বদা ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলা উচিৎ, গাড়ী চালানাের সময় সেলফোনে কথা বলবেন না বা ‘ ইয়ারফোন যাতে কেউ না ব্যবহার করেন, বাসের ছাদে না বসা উচিৎ কারণ এটি বিপজ্জনক ,
স্কুল – কলেজ- হাসপাতাল প্রভৃতি সাইলেন্স জোনাে ‘ হর্ন যাতে বাজানো না হয় , এয়ার হর্ন ব্যবহার না করা, স্টপ লাইনের আগে গাড়ী যাতে থামানো হয় ,গাড়ী চালানাের সময় অবশ্যই সিটবেল্ট ব্যবহার করুন, ভিড় রাস্তায় ওভারটেক না করা, নির্ধারিত সময়ের জন্য কোনাে কোনাে রাস্তায় বাণিজ্যিক যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে , “ নাে পার্কিং জোনে ’ কখনাে গাড়ী না রাখা, ব্যক্তিগত যানবাহন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ, গাড়ীর ছাদে লোক যাতে না ওঠানো হয় , এটি দণ্ডনীয় অপরাধ ।