মন্দিরে চুরি কাণ্ড : গ্রেফতার শারীরিক প্রতিবন্ধী চোর ও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী
উদ্ধার দু লক্ষ টাকার সোনার গয়না
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৪ ফেব্রুয়ারিঃ একটি মন্দিরে প্রতিমার গয়না চোর ধরা পড়লো অবশেষে। মন্দির এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও তার সাহায্যে চোরের হদিশ পায় পুলিশ। তবে চোরকে সামনে থেকে দেখে তাজ্জব বনে যায় পুলিশ। যে মন্দির থেকে গয়না চুরি করেছে সে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। পাশের জেলা পুরুলিয়ার মধুকুণ্ডায় তার বাড়ি। ধৃতের নাম কালু। তবে সে ল্যাংড়া কালু নামেই বেশি পরিচিত। কালুকে গ্রেফতার করার পরে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দু লক্ষ টাকা সোনার গয়না। কালুকে জেরা করে ও তার সূত্র ধরে পূর্ব বর্ধমানের এক সোনা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃত ব্যবসায়ীর নাম অভিজিত বর্মা। তার বাড়ি গলসীতে। কালুর কাছে চোরাই সোনা এই ব্যবসায়ীই কিনেছিলো বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
জানা গেছে পুলিশের জেরায় ধৃত কালু স্বীকার করেছে সেই সোনা চুরি করেছে। চোরাই সোনা বেশ কয়েকবার গলসীর ঐ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে সে বিক্রি করেছে।
প্রসঙ্গতঃ, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আসানসোলের মহিশীলা কলোনীর ক্ষুদিরাম পার্ক এলাকার এক কালি মন্দির থেকে প্রতিমার সোনার গয়না চুরি যায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।
পুলিশ তদন্ত করতে নেমে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখান থেকেই ল্যাংড়া কালুর হদিশ পায় পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে এই কালু ডান পায়ে চলতে অক্ষম। আগে সে রেলের এলাকায় লোহা চুরি করে করতো। এখন বন্ধ ঘরে তালা ভেঙে বা মন্দিরে তালা ভেঙে চুরি করে। এরপরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গত ২১ ফেব্রুয়ারি মধুকুণ্ডার বাসিন্দা কালুকে ধরে । তাকে আসানসোল আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ রিমান্ডে নেয়। তাকে জেরা করে সোনা ব্যবসায়ীর খোঁজ মেলে। মঙ্গলবার সেই সোনা ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে চোরাই সোনা উদ্ধার করে পুলিশ ।
বুধবার ধৃত সোনা ব্যবসায়ীকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে জেল হাজতের নির্দেশ দেন।