স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে হুড়োহুড়ি, সামাজিক দূরত্ব শিকেয়, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৯ এপ্রিলঃ করোনার ভ্যাকসিন নিতে এসে সামাজিক দূরত্ব বিধি না মেনে উপচে পড়া ভিড়। চললো হুড়োহুড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসতে হলে পুলিশকে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি বিধানসভার সীতারামপুর কুমারডিহা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বৃহস্পতিবার সকাল এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন সকাল থেকে কয়েকশো লোক করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে লাইনে দিয়ে দঁড়িয়েছিলেন৷
কিন্তু উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি খুলতেই ছবিটা বদলে যায়। মুহূর্তে সবাই একে অপরকে ঘেঁসে সবার থেকে আগে নম্বর পা্ওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করতে শুরু করেন । কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে একে অপরকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। নিজেদের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায় । পরে ঘটনার খবর নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশকে দেওয়া হয় । পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় । এই বিষয়ে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে কেউ কিছু বলতে চান নি ।
এদিকে আসানসোলের বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাব গুলিতে করোনা পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে । কোথাও ১২৫০ টাকা, কোথাও ১৫০০ টাকা, কোথাও বা আবার ২০০০ টাকা বলা হচ্ছে। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই অনেক সংস্থা সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নাম করে তাদের নম্বর দিচ্ছেন।
যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ অশ্বিনী কুমার মাঝি বলেন, কেউ করোনা পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ৯৫০ টাকা নিতে পারে। এর বেশি টাকা নিতে পারে না। যদি নির্দিষ্ট অভিযোগ তার কাছে আসে তাহলে তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
অন্যদিকে, করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখে আসানসোল সব্জী ও মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হলেন। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল সব্জী, মাছ বাজার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল ” নো মাস্ক নো এন্ট্রি ” র সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব পালন করার পোস্টার লাগানো হচ্ছে। এই পোস্টার লাগানো হচ্ছে আসানসোল ফিস মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।
এই বিষয়ে ফিস মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মহঃ সাজ্জাদ হুসেন বলেন, যে ভাবে করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে সেই কথা মাথায় রেখে বাজারে আসা ছোট বড় ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে আমরা বাজার এলাকায় ” নো মাস্ক নো এন্ট্রি” র পোস্টার লাগলাম। বিনা মাস্কে কাওকে বাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আগামীদিনে যদি করোনার প্রকোপ আরো বেড়ে যায় তাহলে আমরা বাজার বন্ধ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।