ASANSOLASANSOL-BURNPURBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANKULTI-BARAKARRANIGANJ-JAMURIA

শিল্পাঞ্চলে লকডাউনের প্রথম দিন, নির্দেশ মানা, না মানার নানান ছবি, কঠোর পুলিশ, রাস্তায় রাস্তায় কড়া নজরদারি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়/ সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, ১৬মে (Lockdown in asansol) : রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো রবিবার থেকে করোনার বাড়বাড়ন্ত আটকাতে কড়াকড়ি ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। যা অনেকটা লকডাউনের সমান। আর সেই লকডাউনের প্রথম দিনেই দেখা গেল আসানসোল শিল্পাঞ্চলে পুলিশকে দেখা গেলো কড়া হাতে হাল ধরতে।


লকডাউনের প্রথম দিনে আসানসোল শহর থেকে রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বার্ণপুর, কুলটি, বারাবনি, বরাকর, রুপনারায়ণপুর, রেল শহর চিত্তরঞ্জন ও বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিলো। কিন্তু তারমধ্যে সরকারের জারি করা নির্দেশিকা গুলি ভঙ্গ করতে দেখা গেলো বিভিন্ন বাজারে।


বাজার খুলে রাখার সময় ছিলো সকাল সাতটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত। সেই সময়সীমা অতিক্রম করার পরেও দোকান খোলা রাখায় আসানসোলে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নেয়। আসানসোল দক্ষিণ থানার মহিশিলা কলোনির ক্ষুদিরাম মূর্তির কাছে সবজি ও মাছ বাজারে পুলিশের অভিযান চালায়। নির্দিষ্ট সময়ের পরে দোকান খোলা রাখায় অপরাধে লাঠিচার্জ করে সমস্ত দোকান তুলে দেওয়া হয়।


সকাল দশটার পর দোকান খুলে রাখায় দোকানদারদের উঠতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা না করায় এই অভিযান বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
এদিকে এদিন আসানসোলের জিটি রোডের সিটি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি ( ট্রাফিক / ইনচার্জ পশ্চিম ) আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ যাতায়াত করা সব গাড়ি পরীক্ষা করা হয়। বাইরে বেরোনোর কারন ও কাগজ দেখে তবেই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যথায় গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়, বিধিনিষেধ ও নির্দেশ মেনে চলুন। আরো বলা হয়েছে, প্রথম দিন সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর নির্দেশ অমান্য করা হলে গ্রেফতার করে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


অন্যদিকে, এদিন বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তে ডুবুরডিহি চেকপোস্টে কড়া নজরদারি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিসিপি ( ট্রাফিক/ ইনচার্জ পশ্চিম) সহ অন্য পুলিশ অফিসাররা। একই ছবি ধরা পড়ল রুপনারায়নপুর বাংলা ঝাড়খন্ড চেকপোষ্টে ও কল্যানেশ্বরী নাকা পয়েন্টেও। এই দুই জায়গায় গাড়ি পরীক্ষা করে করেন রূপনারায়ানপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রসেনজিৎ রায় ও কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির ইনচার্জ অমরনাথ দাস। জরুরী পরিষেবা গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি পারাপার করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই গাড়িগুলির কাছে সঠিক কাগজ আাছে, সেগুলোও যেতে দেওয়া হচ্ছে।


আসানসোলের পাশাপাশি রূপনারায়ণপুর বাজার, দেন্দুয়া বাজার, দোমাহানি বাজারে দেখা গেল সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করা ছবি।
এইদিন পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সমস্ত সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। পুলিশ মাইকিং করে সাধারণ মানুষদের বার্তা দেয় যে, অযথা কেউ বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। সকাল দশটার পর বাজারে কেউ আসবেন না। কিন্তু পুলিশের সেই মাইকিংয়ের পরেও সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সাধারণ মানুষ অনায়াসে বাজারে রাস্তায় ঘুরতে দেখা গেল। তারপর পুলিশের তাড়া খেয়ে দোকানপাট বন্ধ করে রুপনারায়নপুর বাজারের সবজি বাজারে বিক্রেতারা। তা দেখে ক্রেতাদের দৌড়ে এদিক সেদিকে পালিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়ে।

লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারের জারি করা নির্দেশিকা গুলি ভঙ্গ করতে দেখা গেলো বিভিন্ন বাজার হাটে

কাজল মিত্র :- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে গতকালই রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন ১৬মে অর্থাৎ আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কড়াকড়ি ভাবে লকডাউন শুরু হবে ৩১শে মে পর্যন্ত।কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিনেই দেখা গেল পুলিশকে কড়া হাতে হাল ধরতে। রূপনারায়ণপুর বাজার,দেন্দুয়া বাজার, দোমাহানি বাজার সর্বত্রই দেখা গেল সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করা ছবি।


এইদিন পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সমস্ত সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।তারা মাইকিং করে সাধারণ মানুষদের বার্তা দেওয়া হয় যে অযথা কেউ বাড়ির বাইরে বেরোবেন না ও সকাল দশটার পর বাজারে কেউ আসবেন না কিন্তু পুলিশের মাই কিং করা সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশিকা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সাধারণ মানুষ অনায়াসে বাজারে রাস্তায় ঘুরতে দেখা গেল।

অবশেষে পুলিশের তৎপর হয়ে তাড়াদিয়ে দোকানপাট বন্ধ করল । রুপনারায়নপুর সবজি বাজারে দেখা গেল বহু মানুষের ভিড় কেও কেও মাস্ক ছাড়াই বাইরে দেখা মিলল ।পুলিশ আসতেই সকলে এদিক ওদিক পালাতে শুরু করে ।তাছাড়া সরকারের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করে বেসরকারি কল কারখানা গুলিও খুলে রেখেছিল। যেখানে পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো আজ থেকে ৩০মে পর্যন্ত সমস্ত কল কারখানা বন্ধ থাকবে কিন্তু সালানপুর ও কুলটি থানার অন্ত র্গত কদভিটা এলাকায় অবস্থিত ইক্সপেক্স,জাগদম্বা,সিটি গোল্ড সহ বিভিন্ন প্রাইভেট স্টিল প্লান্ট গুলি খোলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *