YAAS এর তাণ্ডব : রাজ্যে ২০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত, ১৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে ত্রান কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত,: কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় যশ (CYCLONE YAAS) ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানবে। ইয়াসের তাণ্ডব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ৭৫ থেকে ১১০ কিলোমিটার ঘন্টা গতিবেগে হাওয়া চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে যে প্রশাসন অনুমতি না দিলে তারা যাতে ত্রাণকেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে না যাওয়ার চেষ্টা করে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে রাজ্যে ২০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৫ লক্ষেরও বেশি লোককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফের একটি দল সেনাবাহিনীর সাথে যৌথভাবে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে।
যশ এর তাণ্ডবে “অনেক অঞ্চল ভেসে গেছে”
বুধবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে কন্ট্রোল রুম থেকে তিনি বলেন, “অনেকগুলি অঞ্চল ভেসে গেছে।” আমরা ১৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যেতে সফল হয়েছি। তাদের বিভিন্ন ত্রাণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভরা কোটালের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ বাড়ছে। তবে আমি সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করছি যে, যারা ত্রাণ কেন্দ্রে আছেন তারা যেন এখন বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা না করেন। প্রশাসন অনুমতি দিলেই তবেই তারা বাইরে যাবেন।
গতরাত থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন
বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কেও মুখ্যমন্ত্রী অবহিত করেন। (YAAS এর ধ্বংসলীলা) “গোসাবার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে,” মুখ্যমন্ত্রী বলেন। শঙ্করপুর, দিঘা, মন্দারমণি এবং তাজপুর ভাসছে। ” তাঁর কথায়, “ঘূর্ণিঝড় যশ এসে গিয়েছে।” বুধবার সমুদ্রে ভরা কোটালও চলছে। তাই বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। ” লক্ষণীয় বিষয়, মুখ্যমন্ত্রী গত রাত থেকেই কন্ট্রোল রুম থেকেই পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন।