RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নূপুর এলাকায় টানা বর্ষণের ফলে জলের তলায় চাষীর ফসল


বেঙ্গল মিরর, দীপ রঞ্জন ব্যানার্জী : রানীগঞ্জের রাজারবাধের জল দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার জুড়ে নুপুর গ্রাম হয়ে দামোদরের মোহনায় পড়ছে। এই দীর্ঘ সেচনালা বারবার প্লাবিত হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এবারের একদিনের বর্ষাতেই নুপুর গ্রামের প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ বিঘা ফসলের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। কৃষকরা দাবি করছেন দীর্ঘদিন ধরে এই সেচনালা সঠিক পরিকল্পনা মাফিক সংস্কার না হওয়ার কারণে এই প্লাবনের ঘটনা ঘটলো।

নূপুরের কৃষক তন্ময় পাল, বলরাম মাঝি, মাগারাম খা জানালেন তাদের জমির ভেন্ডি, বরবটি, লাউ, শসা নেনুয়া, লাল শাক জলের তলায় চলে চলে যাওয়ার ফলে তাদের 20 থেকে 30 হাজার টাকা ক্ষতি হয়। এখনো যেটুকু জমি জমির ফসল বেঁচে আছে সেটাকে রক্ষা করার জন্য বর্ষায় ভিজে ভিজে মাঠে নেমে পড়েছেন চাষিরা।তারা উদ্বেগের সঙ্গে জানালেন, বারবার প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও এই সেচনালা সংস্কার হয়নি। তারা দাবী করছেন নদীর মোহনা থেকে কাজ শুরু করার জন্য কিন্তু কৃষি আধিকারিকরা উপরের থেকে কাজ শুরু করেছেন ফলে নালার মধ্যে জমে থাকা কচুরিপানা ও আগাছা আবার ভেসে নদীর মুখে বন্ধ করে দিচ্ছে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্প ও কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা তারা হাতে পায়নি। এ বিষয়ে রানীগঞ্জ ব্লকের কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক এর সঙ্গেও তারা কথা বলেছেন। নুপুর গ্রামের কৃষক সভার কর্মী দের পক্ষ থেকে মলয় কান্তি মন্ডল জানালেন রাণীগঞ্জ থেকে নুপুর হয়ে দামোদর পর্যন্ত সেচ নালা সংস্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই রানিগঞ্জ বিডিওকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন 2011 সালের পর থেকে সঠিকভাবে সেচনালা সংস্কার করা হয়নি সেই কারণেই প্রতি বছরই নুপুর গ্রামের ফসল জলের তলায় চলে যাচ্ছে। নুপুর গ্রামের সেচলালার সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছেন গ্রামবাসীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *