লছিপুরে দুঃস্থ বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ালেন বার্নপুরের শান্তিনগর বালিকা বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা
বেঙ্গল মিরর, সীতারামপুর : সীতারামপুরের লছিপুর যৌন এলাকায় দুঃস্থ বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ালেন বার্নপুরের শান্তিনগর বালিকা বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাগণ ৷ আজ দিশা জনকল্যাণ কেন্দ্র তারা অন্তত ১১০ জন পড়ুয়া সহ শিশুদের হাতে তুলে দিলেন প্রচুর খাদ্য সামগ্রী ৷ পাউরুটি, সোয়াবিন, হরলিক্স, কমপ্ল্যান, ফ্রুটস কেক, বিস্কুট, পটেটো চিপস, মুড়ি, চিঁড়ে, ক্যাডবেরি, কলা, ম্যাগী, চকলেট কী নেই ! এছাড়াও প্রত্যেককে একটি করে সাবান ও সুদৃশ্য স্যানিটাইজার মাস্ক প্রদান করলেন শিক্ষিকারা ৷




শান্তিনগর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দেবযানী মুখার্জী ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষিকা শিপ্রা দাস, অপর্ণা মান্ডি,মিতালি ব্যানার্জী, সঙ্গীতা পাল, করবী রায়, সন্ধ্যা চ্যাটার্জী এবং অশিক্ষক কর্মচারী বাবলু দাস, নিলয় রায়েরা নিজেদের হাতে বাচ্চাদের উপযোগী খাবারসহ অন্তত এক সপ্তাহের টিফিন প্রদান করেন ৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শান্তিনগর বিদ্যামন্দির ( দিবা ) হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবজ্যোতি সিনহা এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু সাহা ৷
দেবযানীদেবী বলেন আমরা শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্রের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম লকডাউনের ফলে এই অঞ্চলের মানুষজনের অবস্থা খুবই অসহনীয় হয়ে উঠেছে ৷ এই অবস্থায় আমরা বাচ্চাদের মনোমত শিশুখাদ্যসহ আগামী সাত দিনের টিফিনের স্পেশাল প্যাকেজ তাদের হাতে তুলে দিয়েছি ৷ শিক্ষিকা করবী রায় জানালেন আজকের খাদ্যসামগ্রীর জন্য মোট ১২,০০০ টাকা অর্থ ব্যয় হয়েছে ৷ কর্মরত শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীরা ছাড়াও অনুদানের একটি বড় অংশ এসেছে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষিকাদের কাছ থেকে ৷
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শিপ্রা দাস এ প্রসঙ্গে জানালেন শান্তিনগর বিদ্যামন্দিরর শিক্ষিকাগণ নিজেদের যতটুকু সামর্থ্য তাকে সম্বল করে সারা বছর মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে ৷ শিক্ষক দিব্যেন্দু সাহা বলেন, আজকের এই মহৎ কাজে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত বোধ করছেন ৷ আজকের অনুষ্ঠানে দেব জ্যোতি সিনহা, প্রধান শিক্ষক শান্তিনগর বিদ্যামন্দির (উঃমাঃ), বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মিতালী ব্যানার্জী, করবী রায়। দিব্যেন্দু সাহা, সহকারি প্রধান শিক্ষক শান্তিনগর বিদ্যামন্দির (উঃমাঃ), শিপ্রা দাস, প্রাক্তন শিক্ষিকা, শান্তিনগর বিদ্যামন্দির উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রমুখ। দিশার পক্ষে শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্র ছাড়াও ছিলেন রজনী দাস, দেবব্রত অধিকারী, অভয়বাবু, চাঁদ, টুম্পা সিনহা ও বাপি সরকার ৷