একদিন পরে নদী থেকে উদ্ধার তলিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পড়ুয়ার দেহ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১৯ জুনঃ প্রায় একদিন পরে শনিবার সকালে আসানসোলের কালাপাহাড়ি এলাকায় গাড়ুই নদী থেকে উদ্ধার হলো আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়ার দেহ। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের দল মহঃ ইফতেকার আলম নামে ঐ পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করেছে বলে আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চল জুড়ে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টির ফলে জলস্তর বেড়ে যায় আসানসোলের গাড়ুই নদীর। সেই নদীর জলে প্লাবিত হয় আসানসোল পুরনিগমের রেলপারের ৬টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। তারই মধ্যে শুক্রবার সকালে আসানসোলের রেলপারের ইকবাল সেতু থেকে বৃষ্টির জলে ফুলেফেঁপে উঠা গাড়ুই নদীতে সাঁতার কাটার জন্য ঝাঁপ দেয় রেলপারের নয়া মহল্লার বাসিন্দা মহঃ ইফতেকার আলম (২২)। কিন্তু নদীর স্রোতে সাঁতার কাটতে নেমে ইফতেকার বেসামাল হয়ে যায়। নদীর জলে সে ভেসে গিয়ে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে এলাকায় আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। ডেকে আনা হয় জেলা প্রশাসনের ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্টের উদ্ধারকারী দলকে। তারা ইফতেকারের খোঁজে নদীতে তল্লাশিতে নামেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় । শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত লাইট নিয়ে তল্লাশি চালানো হলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। শনিবার ভোর থেকে আবার তার খোঁজে নদীতে নামেন ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্টের উদ্ধারকারী দল। সকাল নটার সময় কালিপাহাড়ির কাছে গাড়ুই নদী থেকে পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের দল। পুলিশ সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । পরে খবর পেয়ে পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা আসেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।