ASANSOL

দেবাশীষ ঘটক স্মৃতিরক্ষা কমিটি যশ ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠালো, সবুজ পতাকা দেখালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : রবিবার দেবাশীষ ঘটক স্মৃতিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে যশ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সুন্দরবন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বোঝাই বাসকে সবুজ পতাকা দেখি রওনা করলেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত মন্ত্রী মলয় ঘটক।

ওই ত্রাণসামগ্রী বোঝাই বাসের সঙ্গে সুন্দরবনের যশ বিধ্বস্ত এলাকায় যাবেন আসানসোল করপোরেশনের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল নর্থ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর গুরুদাস চ্যাটার্জী, মনোজ রজক, পিন্টু কর্মকার, এসবিএসটিসির এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ডিস্ট্রিক্ট জেনারেল সেক্রেটারি থেকে ভুবনেশ্বর মুখার্জি, মিঠাই, পাপন, সুশান্ত, রিয়ন, অমিত শর্মা সহ প্রায় ৫০ জন সদস্য।ওই টিমের সঙ্গে ছিলেন বিশ্বরূপ দত্তরায়, জয় চক্রবর্তী, রীতম চক্রবর্তী প্রভৃতি যুবকেরা ছিলেন।

ত্রাণসামগ্রী বোঝাই বাসকে
সবুজ পতাকা দেখাবার আগে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ” যশ ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় প্রচুর মানুষ হতে গ্রস্ত হয়েছেন। ফলে সেই সব মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাবার জন্য দেবাশীষ ঘটক ফাউন্ডেশন এর প্রতিটি সদস্যকে আমি ধন্যবাদ জানাই এই মানবিক উদ্যোগের জন্য। এই অনুষ্ঠানে অনেক শিক্ষকরাও উপস্থিত রয়েছেন। “দেবু”-র ( দেবাশীষ ঘটক) কথা নতুন করে এই অঞ্চলের লোকেদের কাছে বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের সেবাই ছিল তার আদর্শ। আর সেই কারণেই এই ওয়ার্ডের মানুষ তাকে টানা ৫ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছিল। এলাকার প্রত্যেকটি মানুষের সাথে আমাদের আর্থিক যোগাযোগ রয়েছে। সবাই ভালো থাকুন। দেবাশীষ ঘটকের আদর্শকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

এ ব্যাপারে অভিজিৎ ঘটক বলেন, ” তারা সুন্দরবনের যশ বিধ্বস্ত এলাকা যেমন দুলকি, সোনাগা, পাখিরালয়, রাঙাবেলিয়া, কুমীরমারি, মোল্লাখালি প্রমুখ জায়গায় ত্রাণসামগ্রী মানুষকে দেবেন। প্রায় ১৩০০ জনের জন্য ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়া শুকনো খাবার রয়েছে। যশ ঘূর্ণিঝড়ে বহু মানুষ তাদের ভিটে মাটি হারিয়েছেন, কাজ হারিয়েছেন, খাদ্যাভাব রয়েছে। তাই এই দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদে দেবাশীষ ঘটক ফাউন্ডেশন এগিয়ে এসেছে।
দেবাশীষ ঘটক আজ স্বশরীরে আমাদের মধ্যে না থাকলেও মানুষের সেবা করার এবং মানুষের পাশে থাকার তার যে আদর্শ তা আমরা বহন করে চলেছি।”

এছাড়া আসানসোল কর্পোরেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডের চেয়ারপারসন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ওই স্থানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন,
” চেলিডাঙ্গার এই জায়গাতে এলেই ১৯৮৫-৮৬ সালের কথা মনে পড়ে যায়। তখন আমরা দেবাশীষ ঘটকের সঙ্গে কথা বলতাম, চা খেতাম, কলেজে যেতাম অনেক কিছুই স্মৃতিচারণ করি। দেবাশীষ ঘটক মানুষের পাশে সবসময় থাকতেন। তার ভাই মলয় ঘটক আজ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রী হয়েছেন। তিনিও দেবাশীষ ঘটকের আদর্শকে সঙ্গে নিয়ে
সারা রাজ্যে জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন। দেবাশীষ ঘটক স্মৃতিরক্ষা কমিটির মানবসেবার এই উদ্যোগকে সম্মান জানাই।”

দেবাশীষ ঘটক স্মৃতিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে পিন্টু কর্মকার বলেন, ” সুন্দরবনের এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে যেখানে এখনও বহু মানুষ খাদ্যাভাবে রয়েছেন।আমরা আজ যাত্রা শুরু করে আগামী ২২ তারিখ রাত্রে আসানসোল ফিরব। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল ,সরষের তেল, হলুদ, জীরা, গুড়ো দুধ,
চা- পাতা, বিস্কুট, সোয়াবিন, চিড়া, চিনি, গুড়, হাতপাখা, স্যানিটাইজার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ওআরএস, জল, ওষুধপত্র, সাবান, বাচ্চাদের খাতা- পেন্সিল, বেবি ফুড প্রভৃতি সামগ্রী।

ওই অনুষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর ও এসবিএসটিসি।এসবিএসটিসির পক্ষ থেকে বাস দেওয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে এসবিএসটিসির ডিপো ইনচার্জ সুদীপ্ত চন্দ, এম আই সন্দীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। তারা এই সংগঠনের সদস্যেদের এই মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পাঞ্চলের ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন এর শ্রমিক নেতা রাজু আহ্লুয়ালিয়া সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *