বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা
বেঙ্গল মিরর, কোলকাতা ঃ ঠাকুর শ্রীশ্রী সমীর ব্রহ্মচারী বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘ প্রাঙ্গণে ভক্তসমাগম বাদ রেখে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হল। মন্দির থেকে একে একে বলভদ্রদেব, সুভদ্রামাতা, প্রভু জগন্নাথদেব এবং সুদর্শনদেবকে বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘের ব্রহ্মসরােবরে পাড়ে স্নানবেদীতে আনা হয়। কোভিডের জন্য চতুৰ্ধার বিগ্রহকে সুসজ্জিত ভ্যান রিক্সায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাদের আরতি করে ঘি, মধু, দুধ দিয়ে স্নান করান আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীসমীরেশ্বর ব্রহ্মচারী মহারাজ। সুবিশাল শঙ্খে দুধ পরিপূর্ণ করে প্রভুদের মাথায় ঢালা হয়। তারপর পৃথিবীর ১৫০ টিরও বেশী পবিত্র তীর্থস্থানের জলে পরিপূর্ণ আশ্রমের ব্রহ্মসরােবরের ১০৮টি ঘটে করে জল এনে মন্ত্রোচ্চারণের দ্বারা শুদ্ধ করে বিগ্রহদের স্নান করানাে হয়।




১০৮ ঘটের মধ্যে ৩৫টি ঘটের জল প্রভু জগন্নাথদেবের মস্তকে, ৩২টি ঘটের জল প্রভু বলভদ্রদেবের মস্তকে, ২৩টি ঘটের জল সুভদ্রা মাতার মস্তকে এবং ১৮টি ঘটের জল সুদর্শনদেবের মস্তকে ঢালা হয়। এইভাবে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। স্নানযাত্রার পর বলভদ্র এবং জগন্নাথদেবকে হাতির মুখের মুখােশে সজ্জিত গণেশের বেশে সাজানাে হয়। একে বলে ‘গজবেশ। শ্রীসমীরেশ্বর ব্রহ্মচারী মহারাজ জানালেন অনেক স্নান করার পর প্রভুদের জ্বর আসে। এইসময় ১৫দিন তাদের দর্শন বন্ধ থাকে। এই অবস্থাকে ‘অনসর’ বলে। পাচনভােগ দেওয়া হয়। আরােগ্যলাভের পর নেত্রোৎসবের মাধ্যমে নবযৌবন লাভ করেন। তখন তারা নতুন পােষাক পরে ভক্তদের দর্শন দেন। এদিন বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘ প্রাঙ্গণে কোভিড বিধি মেনে ভক্তদের দূরে রেখেই যথাবিধ শাস্ত্রীয় মর্যাদায় স্নানযাত্রা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।