BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali News

বেহাল ছবি রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের রুপনারায়নপুর সহকারী ইঞ্জিনিয়ার অফিসের, মাস খানেক ধরে প্রিন্টার বিকল, বিল জমা দিতে হয়রানি গ্রাহকদের

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ৫ জুলাইঃ প্রায় মাস খানেক ধরে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার রুপনারায়নপুর সহকারি ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরে বিল জমা নেওয়া প্রিন্টারটির খারাপ। ফলে সকাল থেকে যারা লাইন দিচ্ছেন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে তাদের টাকা জমা দিতে। কর্মীরা বলছেন  আসানসোল থেকে প্রিন্টার মিলছে না।  সোমবারের অবস্থা ছিল আরও ভয়ংকর। বিল জমা নেওয়া হচ্ছে দোতলার উপরে একটি কাউন্টার থেকে। আর সেখানে টাকা জমা দেওয়ার জন্য দীর্ঘতর লাইন নেমে এসেছে দোতলার কাউন্টার থেকে এক তলার সিঁড়ি বেয়ে ফাঁকা মাঠ ছাড়িয়ে একেবারে বাস রাস্তা পর্যন্ত। এমনই বেহাল দশা রূপনারায়নপুর বিদ্যুৎ অফিসে। টাকা জমা দিতে গিয়ে সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাচ্ছে গ্রাহকদের।

photo by kajal mitra

কেন এই নজিরবিহীন অস্বস্তিজনক চিত্র জানতে গেলে বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে বলা হয়েছে আগে দুটি কাউন্টারে বিদ্যুৎ বিল জমা নেওয়া হতো কিন্তু 8 জুন থেকে একটিমাত্র কাউন্টারেই বিল জমা নেওয়া হচ্ছে। কারণ অন্য কাউন্টারের প্রিন্টার মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু সরকারের ঘরে টাকা জমা দিতে গিয়ে মানুষের এই হয়রানি দূর করার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের তেমন কোনো হেলদোল নেই। কাউন্টারের কর্মীরা প্রিন্টার খারাপ থাকার বিষয়টি অফিসের ইনচার্জ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছেন বলে জানান। এ প্রসঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অয়ন মুখার্জি শুধু বলেন বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু প্রিন্টারটি সারানো হচ্ছে না কেন সেই বিষয়ে তিনি তদবির করেছেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি চুপ থাকেন। বিষয়টি নিয়ে ৩ জুলাই ভাবনার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ জানান হয়। বিদ্যুৎ অফিসের এই অস্বস্তিজনক অবস্থার কথা ডিসনাল ম্যানেজারকেও জানানো হয়। এদিকে গ্রাহকদের হয়রানি কমানোর জন্য ভাবনার পক্ষ থেকে আবেদন জানিয়ে রূপনারায়ণপুর বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে বলা হয়েছে ।তারা লিখিতভাবে নতুন প্রিন্টার নিয়ে আসার অপারগতার কথা জানালে ভাবনার পক্ষ থেকে চাঁদা তুলে হলেও নতুন প্রিন্টার কিনে বিদ্যুৎ অফিসের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

বিষয়টি এদিনই বিডিওকেও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। ৫  জুলাই সকাল থেকে অন্ততপক্ষে ২০০ মানুষের লাইন পড়ে গেছে। তবুও জরুরী ভিত্তিতে আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের কোনরকম উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। তবে আবারও বিষয়টি ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার এবং রিজিওনাল ম্যানেজারকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানানো হয়েছে । কারণ মানুষের এই দুর্ভোগের চিত্র বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে।

ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে অনিয়ম পঞ্চায়েত ঘিরে বিক্ষোভ

ডিওয়াইএফআইয়ের ভ্যাকসিন দেওয়ার নাটকের ছলে এক অনন্য অভিনয়ের মাধ্যমে বিরোধ প্রদর্শন

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *