ASANSOL

জেলায় উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের ফল ছেলেদের চেয়ে ভালো, দূর্গাপুরের অমৃতা ঘোষ ষষ্ঠ ও কুলটির দীপ্তি পাল অষ্টম

বেঙ্গল মিরর , দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২২ জুলাইঃ এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বেশ ভাল ফলাফল করেছে । শুধু তাই নয় এবারের উচ্চমাধ্যমিকে ছেলেদের তুলনায় দুই হাজারের বেশি মেয়ে জেলায় পরীক্ষার্থী হিসাবে ছিলো। শিক্ষা দপ্তরের প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, এবছর পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ২২, ৯৩৭ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। তাদের মধ্যে ২২,২৭৭ জন পাস করেছে। অর্থাৎ জেলায় পাসের হার ৯৭.১২ শতাংশ । এই জেলা থেকে এবছর ১০, ৪০৩ জন ছাত্র ও ১২৫৩৪ জন ছাত্রী পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিয়েছিল। পাশ করা পড়ুয়াদের মধ্যে ৪৫.২৬ শতাংশ ছাত্র ও ৫৪.৭৪ শতাংশ ছাত্রী আছে।


পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এবছর দুর্গাপুরের সুরেন্দ্র চন্দ্র মর্ডান হাই স্কুল থেকে ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে অমৃতা ঘোষ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। অন্যদিকে, আসানসোলের কুলটির সীতারামপুরের বেলরুই এন জি ইনস্টিটিউশন থেকে অষ্টম স্থান পেয়েছে দীপ্তি পাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।
দীপ্তি পাল সীতারামপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। সেখান থেকেই পড়াশোনা করেছে। সে এই রেজাল্ট আশা করেছিলো বলে এদিন জানায়। স্কুলে দীপ্তি বরাবরই প্রথম হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় সে এই জেলাতে অষ্টম স্থান পেয়েছিল। পড়াশোনার বাইরে গান করা ও বিশেষ করে গোয়েন্দা গল্পের বই পড়া তার খুব পছন্দের বলে জানা গেছে । তার প্রিয় গল্পকারদের তালিকায় আছেন সত্যজিৎ রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তার লক্ষ্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে চিকিৎসা করা ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকা। সামাজিক কাজের সুযোগ পেলেও সে সবসময় এগিয়ে আসার চেষ্টা করে ।

জেলায় জেলায় মেয়েদের ফল ছেলেদের তুলনায় বেশি ভালো হচ্ছে কেন? এর উত্তর দিতে গিয়ে দীপ্তি জানায় , মেয়েরা এখন আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছে । সেইজন্যই মেয়েরা পড়াশোনায় মন দিয়ে করতে চাইছে। তার উপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার জন্য যেসব সুযোগ সুবিধা এনে দিয়েছেন তাতে মেয়েরা আরো বেশি মাত্রায় এগিয়ে আসছে। তার কথায় যতদিন যাবে মেয়েরা আরো বেশি করে পড়াশোনা করতে এগিয়ে আসবে। দীপ্তির বাবা তপন পাল সীতারাপুরের ঐ স্কুলের প্যারা টিচার। মা গৃহবধূ । বাবার কাছে দীপ্তি বাংলা ও ইংরেজি নিয়মিত পড়েছে। মেয়ের এই রেজাল্টে বাবা ও মা খুব খুশি। জেলা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে Dipti Pal এর হাতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেওয়া হলো । স্কূল শিক্ষা দপ্তরের এআই সংহিতা দাস, সর্বশিক্ষা মিশনের সৌমেন্দ্র ব্য়ানার্জী, স্কুলের প্রধানাধ্য়াপক সন্দীপ সরকার উপস্থিত ছিলেন।

WB HS RESULT প্রকাশিত, মুর্শিদাবাদের ছাত্রী রুমানা সুলতানা ৪৯৯ পেয়ে রাজ্য প্রথম

আসানসোল বাজার অঞ্চলে রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের মাসে ৩৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি 

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *