RPF টেলিফোন কেবল চুরি চক্রের আসানসোলের চার পান্ডা কে ধরলো
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য , আসানসোল। আসানসোল ডিভিশনের টেলিকম এবং সিগন্যাল দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে কেবল বা তার কেটে নেওয়ার প্রায়ই অভিযোগ পাচ্ছিল ডিভিশনের আরপিএফ দপ্তর এবং সিগনালিং দপ্তর। মাঝেমধ্যে এ নিয়ে তদন্ত হলেও এই চক্রটি ধরতে পারা যাচ্ছিল না । কিন্তু শেষ কালে আসানসোলের আর পি এফ আধিকারিকরা স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় টেলিফোন কেবল চুরি চক্রের আসানসোলের চার পান্ডা কে ধরে ফেলে। সোমবার তাদের মধুপুর রেল আদালতে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে বিকেলবেলা তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসানসোলের আর পি এফের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র।
এই কেবল চুরির ফলে বহু সময় আচমকা ট্রেন বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে যেত। তাছাড়াও রেলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সিগনালিং এর ক্ষেত্র মাঝেমধ্যেই ক্ষতি হতো। এই চক্র ধরা পড়ার ফলে আশা করা যায় আসানসোল ডিভিশনে টেলিফোন এবং সিগন্যালের তার চুরির পরিমাণ কমবে। রেল সূত্রে জানা গেছে আসানসোল ডিভিশনের জামতারা এবং বিদ্যাসাগর রেল স্টেশনের মাঝখানে কাশিয়াটার রেল হল্টের কাছে রবিবার বিপুল পরিমাণ সিগন্যাল এবং যোগাযোগের তার চুরি হচ্ছিল ।এই সময় গ্রামবাসীরা চার জনকেই হাতে নাতে ধরে ফেলে এবং তাদের দড়ি দিয়ে বাঁধে। তারপর মারধর করার পর আরপিএফ এর হাতে তুলে দেয়।
এদের কাছ থেকে কেবল কাটার একাধিক ছোট বড় যন্ত্র,করাত মিলেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ঐ তিন জন হল আসানসোলের রেলপার এর বাসিন্দা মোঃ সাদ্দাম ,আকবর,আসানসোলের বাবুয়া তলার বাসিন্দা বদরুদ্দীন এবং নাসির হোসেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এখানে আগেও বেশকিছু কেবল চুরি হওয়াতে স্থানীয় ঠিকাদার এবং রেল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের সন্দেহ করছিল তারা হয়ত চুরি করছে।এই সন্দেহ কাটাতেই তারা চোখের সামনে যখন এদের দেখল তখন ধরে দড়ি দিয়ে বাঁধে এবং আরপিএফ এর হাতে তুলে দিয়েছে। আসানসোল থেকে ঝাঝা রেলস্টেশন এর মধ্যেই এই কেবলগুলো সংস্কারের কাজ রেলের হয়ে ঠিকাদাররা করছিল।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চার জনকে ধরার এই খবর পাওয়ার পর আর পি এফ এর সহকারি সাব-ইন্সপেক্টর শ্যাম দত্ত পাঠক কনস্টেবলদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছন এবং অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেয়। সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র বলেন সোমবার ওই চার জনকেই মধুপুরের আদালতে তোলা হলে সেখান থেকে তাদের ৪ থা এপ্রিল পর্যন্ত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন আসানসোল ডিভিশনের বিভিন্ন জায়গায় এই এই ধরনের চক্র কাজ করে এবং নানান যন্ত্র দিয়ে কেবল কেটে সেগুলো পাচার করছে। রেলের অন্য এক আধিকারিক বলেন এর আগে আসানসোল ডিভিশনে একাধিক স্টেশনে এই ধরনের তার চুরি খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তাদের অনুমান এই চক্রটিকে ঠিক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো অন্যান্য চুরির খোঁজ মিলবে।