ASANSOLKULTI-BARAKAR

Breaking : লছিপুরের নিষিদ্ধ পল্লীতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের অভিযান, উদ্ধার প্রায় ৩৫ জন নাবালিকা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৫ আগষ্টঃ ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস (WBCPCR) এর নির্দেশে আসানসোলের নিয়ামতপুরের লছিপুর রেডলাইট বা যৌন পল্লীতে বুধবার রাতে এক বড়সড় অভিযান চালানো হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক বা নাবালিকাদের দিয়ে এখানে যৌন ব্যবসা করানো হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ এই অভিযান চালায়। সেই অভিযানে দেরিতে কয়েক ডজন নাবালিকা প্রায় ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। এই অভিযানে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

लच्छीपुर रेडलाइट में छापेमारी

WBCPCR চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে এই অভিযানে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক বিভু গোয়েল ও আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ​​কুমার ঠাকুরের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যায় আধিকারিক ও পুলিশ বাহিনী ছিলো।


অভিযানের পরে ডব্লিউবিসিপিসিআর চেয়ারপার্সেন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিলো যে, এই যৌন পল্লীতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে ব্যবসা করানো হচ্ছে। তার ভিত্তিতে এর তদন্ত করে অভিযান চালানো হয়। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদেরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের পরীক্ষা করার পরে বাড়ির খোঁজ করে যার যার বাড়িতে পাঠানো হবে।

জেলা শাসক বিভু গোয়েল বলেন, মেয়েদের পাচার করার একটি সূত্র থেকে একটি খবর পাওয়া গেছিলো যে এখানে কম বয়সী মেয়েদের আনা হয়েছে । WBCPCR এর তথ্যের ভিত্তিতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের একটি দল গঠন করে সকাল থেকে তদন্ত করছিল। তার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এখানে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের কি ভাবে আনা হয়েছে তার তদন্ত করা হবে। WBCPCR এর নির্দেশ মতোই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার অজয় ​​কুমার ঠাকুর বলেন, নাবালিকাদের পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এখান থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বয়স যাচাই করার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাবালিকাদের এখান থেকে মুক্ত করাই মূল উদ্দেশ্য ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *