বিয়ের তিনমাসের মধ্যে শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর দেহ, খুনের অভিযোগ, আটক দুই
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল,(বারাবনি) মনোজ শর্মা, ১৭ আগষ্টঃ বিয়ের মাত্র তিনমাসের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হলো এক গৃহবধূর মৃতদেহ। আসানসোলের বারাবনি থানার বারাবনি ব্লকের পানুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলবেরিয়া গ্রামের এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত গৃহবধূর নাম তারা মন্ডল (১৮)। জানা গেছে, শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী ঐ গৃহবধূর উপরে অত্যাচার চালাতো। এদিন ভোর চারটে নাগাদ শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূর বাবাকে ফোনে জানানো হয় যে, আপনারা তাড়াতাড়ি চলে আসুন। কারণ হিসাবে তাকে বলা হয়, তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সেই খবর পেয়ে তারা বাউরির বাবা যাদু বাউরি বেলা বারোটা নাগাদ মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখেন যে, মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিছানায়। তিনি এরপরেই বারাবনি থানায় খবর দেন। সেই খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ আসে। দুপুর একটা নাগাদ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে গৃহবধূর দেহের পাশ থেকে পাওয়া যায় একটি চামড়ার বেল্ট। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, গৃহবধূকে এই বেল্টের সাহায্যে গলায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। গৃহবধূ তারা বাউরির বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শ্বশুর মধুসূদন মন্ডল ও শাশুড়ি মেনকা মন্ডলকে আটক করেছে। স্বামী কৃষ্ণ ওরফে দীপক মন্ডল গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বৃন্দাপাথরের বাসিন্দা তারা গড়াইয়ের সঙ্গে আসানসোলের বারাবনি ব্লকের পানুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলবেড়িয়া গ্রামের দীপক মন্ডল ওরফে কৃষ্ণের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বাপের বাড়ি থেকে পন হিসাবে নগদ টাকা সহ অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয়। তারা মন্ডলের বাবা যাদু গড়াই এদিন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের মাস খানেক পর থেকেই মেয়ের উপর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি অত্যাচার করতো। এদিন সকালে মেয়ের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শুনে শ্বশুর বাড়িতে এসে মেয়ের দেহ দেখতে পাই। তার দাবি, স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেছে।
পুলিশ জানায়, অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
