জেলায় শিক্ষা রত্ন পুরষ্কার পেলেন অরুণ কুমার দাঁ, শিল্পাঞ্চলে সাড়ম্বরের সঙ্গে পালিত শিক্ষক দিবস
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়: রবিবার আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সম্মান ও আড়ম্বরের সঙ্গে ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনের সঙ্গে শিক্ষক দিবস পালিত হয়।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ১৯ জন শিক্ষককে বাড়ি বাড়ি শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই জেলা থেকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেলেন নবগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অরুণ কুমার দাঁ। তাকে ভার্চুয়ালি সম্মানিত করেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ এদিন শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষকদের পুরস্কার তুলে দেন। জেলাশাসকের কার্যালয়ে হওয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি( হেডকোয়ার্টার) , অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা), জেলা পঞ্চায়েত ও গ্ৰাম উন্নয়ন আধিকারিক, জেলা নোডাল আধিকারিক, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক।
অন্যদিকে, এদিন আসানসোল পুরনিগম ভবনে পুর প্রশাসক বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান ড: অমিতাভ বসু ড: সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের ছবিতে পুষ্পস্তবক সম্মান জানান।
এদিন তৃনমুল কংগ্রেসের আসানসোল উত্তর ব্লক কমিটি পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহযোগিতায় আসানসোলের জিটি রোডের বিএনআরের তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে শিক্ষক দিবস পালন করে। এই অনুষ্ঠানে আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের শিক্ষক, যারা এক বছর আগে অবসর নিয়েছেন ও যারা আগামী দু/চার মাসের মধ্যে অবসর নিতে চলেছেন, তাদের সম্মানিত করা হয়।
এই উপলক্ষে সোমনাথ মজুমদার, শম্ভু সিং, বিমলেন্দু প্রসাদ, জয়দেব বিশ্বাস, শ্যাম জি সিং, শুভব্রত মিত্র, মহঃ খুররম, সত্যজিৎ চক্রবর্তী, সিস্টার সাধনা, সচিতা প্রসাদ, বিনয় রজককে উত্তরীয় পড়িয়ে, হাতে পুষ্পস্তবক ও স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির ( INTTUC) জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, ব্লক -১ সভাপতি গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় , ব্লক -২ সভাপতি উৎপল সিনহা ও তৃণমূল নর্থ ব্লক যুব সভাপতি ভানু বোস।
অভিজিৎ ঘটক বলেন, সমাজ গঠনে শিক্ষকদের বিরাট অবদান রয়েছে। শিক্ষককে বলা হয় দেশের নির্মাতা। আজ আমরা যে জায়গাতেই থাকিনা কেন সব জায়গাতেই শিক্ষকদের অবদান আছে। তাদের ছাড়া আমরা কেউ এগিয়ে যেতে পারব না। গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষকরা আমাদের পথপ্রদর্শক। তাদের ছাড়া চলতে কষ্ট হয়। কারণ তারা সঠিক পথ দেখান। তিনি বিধানসভা নির্বাচনের সময় শিক্ষকদের কাজের প্রশংসা করেন। উৎপল সিনহা বলেন, শিক্ষকরা সবসময় আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয় থাকবেনন।সমাজে তারা যে সম্মান পান তা কেউ পান না। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষকরাই প্রথম বিজেপির রূপ চিনতে পারেন। কারণ ত্রিপুরায় শিক্ষকদের প্রতি যে অবিচার করা হচ্ছিল তা এই রাজ্যে কখনোই কাম্য ছিল না।
এবারের নির্বাচনে জিতিয়ে টানা তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন শিক্ষকরা। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করুন ও বিধানসভায় আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন।
এই অনুষ্ঠানে গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় , উৎপল সিনহা ও সৈয়দ রশিদ শিক্ষক মুকেশ ঝাঁকে সামাজিক কাজের জন্য ফুল ও স্মারক দিয়ে সম্মানিত করেন। উদাস চক্রবর্তী, গান্ধী প্রসাদ নুনিয়া, রাজেশ পাসি, রাজেশ নুনিয়া, মহঃ ইমরান, মহঃ সলমন, সগীর আলম, সন্তোষ ভগত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।