West Bengal

সিবিআই ১১.৬ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে, BCCL, ECL এর প্রাক্তন সিএমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলো

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল । কয়লা খনির জন্য সঠিক  মেশিন  বিদেশ থেকে  না আসার ক্ষেত্রে ১১.৬ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই ধানবাদের রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা খনি ভারত কোকিং কোল লিমিটেড(বি সি সি এল)এর প্রাক্তন সিএমডি টি কে লাহিড়ী ,ইসিএলের প্রাক্তন সিএমডি আর কে সিনহা ,প্রাক্তন ডাইরেক্টর(টেকনিক্যাল) ডি সি ঝা, চীনের একটি কোম্পানির ভারতীয় এজেন্ট সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে সিবিআই ধানবাদ এর বিশেষ আদালতে চার্জশিট দাখিল করলো । শুধু তাই নয় সিবিআই আরও এমন কয়েকজন কয়লা আধিকারিক বা বেসরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল যাদের নাম প্রাথমিক অভিযোগপত্রের ছিলনা। অন্যদিকে এই মামলা থেকে সিবিআই বিসিসিএলের ডাইরেক্টর ফাইন্যান্স অমিতাভ সাহা ,সিএম পিডিআই এর রিজিওনাল ডিরেক্টর  বি কে সিনহা এবং খনির প্রাক্তন  চিফ ম্যানেজার এ কে দত্ত ও মুনিডির প্রাপ্তন চিফ  ম্যানেজার এস কে সিনহা কে  ক্লিনচিট দিয়েছে।


জানা গেছে ২০১৭ সালের ২২ শে নভেম্বর সিবিআই বিসিসিএল, ইসিএলের প্রাক্তন আধিকারিক ,চিনা সংস্থার ভারতীয় এজেন্ট সহ ১৬  জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করেছিল ।এই অভিযোগে বলা হয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ভারত কোকিং কোল লিমিটেড চীনের একটি কোম্পানির কাছ থেকে দুটি রোড হেডার মেশিন কিনেছিল সরকারি নিয়ম নীতি কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। তদন্ত করতে গিয়ে সি বি আই জানতে পারে এখানকার খনিতে কাজ করার জন্য ১.৬৫  মিটার উঁচু দুটি রোড হেডার মেশিন কেনার কথা ছিল। কিন্তু ২২ .৫ মিটার উঁচু মেশিন কেনা হয়েছিল।

যদিও ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী এই মেশিনগুলো কেনা হয়নি। আবার মেশিন গুলো ফেরত দেয়া যায়নি কেননা তার আগেই চীনের সংস্থাকে অগ্রীম বাবদ বি সি সি এল১১.৬০ কোটি টাকা দিয়েছিল ।এত উঁচু মেশিন অন্য কোন কয়লার সিমে ব্যবহার করা সম্ভব  ছিলনা। বহু চেষ্টা করেও মুনিডি খনিতে একটি মেশিন চালানো হয় । কিছুদিনের মধ্যেই যদিও সেটি খারাপ হওয়ার পর আর ঠিক করা যায় নি।  আর দ্বিতীয় মেশিনটি নামানই যায় নি। দুর্নীতি নিয়ে প্রায় চার বছর ধরে সিবিআই তদন্ত করে চার্জশিট দিল ।এই ঘটনায় বিসিসিএলের ও ই সি এলের আধিকারিক মহলে রীতিমতো চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

এই চার্জসিটের বিষয়ে বিসিসিএলের প্রাক্তন সিএমডি তাপস কুমার লাহিড়ী বলেন বিশ্ব টেন্ডার করে যে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল সেই অনুযায়ী  চীনের  সংস্থা  মেশিন পাঠাইনি ।তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের এগুলো ফেরতের জন্যে বলেছিলাম ।চীনের সংস্থাটি বলেছিল আমাদের খরচায় সেটা ফেরত পাঠাতে হবে। আমরা তখন চিন্তা করেছিলাম এতে আমাদের ক্ষতি হবে । আমরা আর ওদের বাকি টাকা দিইনি। সেই মত  ওদের টেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী অগ্রিম অর্থ দিয়েছিলাম। আর ওই মেশিন গুলোর মধ্যে যেটি আমরা ব্যবহার করেছিলাম তাতে আমাদের ছয় কোটি টাকা এসেছিল। আর  মেশিন দিয়ে খনির  যে মুখ তৈরি হয়েছিল তাতেই টনপ্রতি ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতো সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। আমি যখন এই কোম্পানির দায়িত্ব নিয়ে ছিলাম তখন তা বিআই এফ আরে ছিল এবং আমি যখন ছেড়ে গেছি তখন কোম্পানি মিনি রত্ন সম্মানিত হয়েছিল। কেন কারা এই অভিযোগ করেছিল তা অবশ্য আমি জানিনা। যা সিদ্ধান্ত কোম্পানির বোর্ড থেকে নেয়া হয়েছিল তাতে কোম্পানির ভালোই হয়েছিল।

Police Constable Exam : আসানসোল ও দূর্গাপুরে ৫ জন ভুয়ো পরীক্ষার্থী গ্রেফতার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *