RANIGANJ-JAMURIA

বরাচকে উত্তেজনা, ক্ষতিপূরনের দাবিতে বিক্ষোভ, ইঁট ভাটার রুম থেকে নৈশপ্রহরীর মৃতদেহ উদ্ধার

বেঙ্গল মিরর ,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩০ সেপ্টেম্বরঃ অন্যদিকের মতো সন্ধ্যায় কাজে বেরিয়েছিলেন। সকালে বাড়ি না ফেরায় খোঁজ করতে গিয়ে উদ্ধার হলো মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার বরাচকের টালিপাড়া এলাকায়। ঐ এলাকারই বাসিন্দা মৃত ব্যক্তির নাম তপন দে (৫০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তপন দে আসানসোলের বরাচকের টালিপাড়ায় একটি ইঁট ভাটায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। অন্যদিনের মতো তিনি বুধবার সন্ধ্যায় প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে ইঁট ভাটায় কাজ করতে যান। বুধবার সারারাত ধরে গোটা আসানসোল জুড়ে তুমুল বৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে অন্যদিনের তিনি কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে যাননি। এরপর বাড়ির লোকেরা তার খোঁজ শুরু করেন। তারা এসে দেখেন, তপন দে ইঁট ভাটার যে রুমে থেকে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন, সেটি জলে ভর্তি। আর সেই জলে ভাসছেন তপন দে। এই ঘটনার কথা শুনে আশপাশের লোকেরা দৌড়ে আসেন। যে রুমে তপন দে থাকতেন, সেই রুমের পাশে রয়েছে একটি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। সবাই অনুমান করেন, রাতের বৃষ্টিতে জল জমে যায় ঐ ঘরে। কোনভাবে সেই জলে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে যায়, আর তাতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা ক্ষতি পূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন।

খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এলাকায় আসে। খবর দেওয়া হয় বিদ্যুৎ দপ্তরকে। পরে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা আসেন। কিন্তু তারা খবর পাওয়ার পরে অনেক দেরিতে এই অভিযোগে এলাকার বাসিন্দারা তাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ কোনমতে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিকেলর পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘরের ভেতর থেকে তপন দের দেহ পুলিশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি, মাইথন, পাঞ্চেত ও দূর্গাপুর থেকে জল ছাড়ার পরিমান বাড়ালো ডিভিসি

আসানসোল শিল্পাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টি,তিনজনের মৃত্যু, ২নং জাতীয় সড়ক থেকে হাসপাতাল জলের তলায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *