Asansol Flood : মলয় ঘটককে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী জাভেদ খান, দিলেন ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল , ১ অক্টোবরঃ রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলা গুলির সঙ্গে নিম্নচাপের প্রভাবে একদিনের সর্বকালীন অতিভারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে আসানসোল শহরের Asansol Flood রেলপার সহ শিল্পাঞ্চলের অনেক এলাকা। বুধবার রাত থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলা এই বৃষ্টিতে আসানসোলে জলে ডুবে ও দেওয়াল চাপা পড়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে এই প্রাকৃতিক দূর্যোগে ১৫ হাজারের মতো মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। জেলায় হাজার কয়েক বাড়ি বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে। তার মধ্যে কিছু বাড়ি একবারে ভেঙ্গে গেছে। কিছু বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঐসব মানুষদের জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের সাহায্য উদ্ধার করেছে। অনেক মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও, বেশকিছু মানুষ এখনো ২ নং জাতীয় সড়কের ফ্লাইওভারের নিচে জিনিসপত্র নিয়ে রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা, ব্রিজ ও কার্লভাট জলের তোড়ে ভেঙে যায়। এরফলে ঐসব এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রানিগঞ্জে জল প্রকল্পের পাইপলাইন বৃহস্পতিবার বৃষ্টির জলে ভেসে যায়।
বৃহস্পতিবার আসানসোলেই ছিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আসানসোলে আসেন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান। এদিন দুই মন্ত্রী জল কবলিত আসানসোলের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। যার মধ্যে ছিলো রেলপার ও আসানসোল বাজার। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে আসানসোল বাজারের বস্তিন বাজারে অনেক দোকানে জল ঢুকে যায়। তাতে দোকানগুলিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এদিন বাজারে মন্ত্রীদের সঙ্গে বাজার পরিদর্শনে ছিলেন আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি ও সম্পাদক নরেশ আগরওয়াল ও শম্ভুনাথ ঝাঁ।
এদিন আসানসোলের সেনরালে রোডের আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার গেস্ট হাউসে আসানসোলের পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে মন্ত্রী জাভেদ খান ছাড়াও ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় , পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকে আসানসোলের বর্তমান পরিস্থিতির নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
(Asansol Flood ) পরে মন্ত্রী জাভেদ খান ও মলয় ঘটক বলেন, এর আগে আসানসোলে এত বেশি বৃষ্টি হয়নি। ১৯৭৮ সালে যখন বন্যা হয়, তখনও এতো বৃষ্টি হয়নি। আসানসোলে তো রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও আসানসোল পুরনিগমের সহযোগিতায় জলে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করেছে। তারা আরো বলেন, যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন এই নিয়ে তদন্ত করে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে তা পাঠাবে। সেই তালিকা মতো সরকারের নির্দিষ্ট করা টাকা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের একাউন্টে জমা পড়ে যাবে। রাজ্য সরকার তাদের পাশে আছে বলে এদিন দুই মন্ত্রী আশ্বাস দেন।
এদিন দুই মন্ত্রী, (Asansol Flood ) মাইথন, পাঞ্চেত ও দূর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দামোদরের জল ছাড়ার জন্য ডিভিসিকে আক্রমন করেন। তারা বলেন, ঐ কেন্দ্রীয় সংস্থার জন্য জেলায় জেলায় এই অবস্থা হয়েছে। তারা এখন বলছে, জল ছাড়ার কথা রাজ্য সরকারকে বলেছে। তা একবারে ঠিক নয়। জল ছাড়ার পরে ডিভিসি সরকারকে জানায়। তখন বলে কি হবে? যদিও তাদের বিরুদ্ধে তোলা মলয় ঘটক ও জাভেদ খানের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।
ডিশেরগড়ে বড় অস্ত্র কারখানার সন্ধান, প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির যন্ত্রপাতি ও উদ্ধার
আসানসোল শিল্পাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টি,তিনজনের মৃত্যু, ২নং জাতীয় সড়ক থেকে হাসপাতাল জলের তলায়