ASANSOLBengali NewsRANIGANJ-JAMURIA

জলের জন্য হাহাকার খনি শহর রানীগঞ্জে, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে, আজ বিকাল আসতে পারে স্বস্তির খবর

বেঙ্গল মিরর, রাণীগঞ্জ, চরণ মুখার্জি : জলের জন্য হাহাকার খনি শহর রানীগঞ্জে, দীর্ঘ কয়েকটা দিন ধরেই জলের দাবিতে বিভিন্ন অংশে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। এই চিত্র রানীগঞ্জের গির্জা পাড়া, হোসেন নগর, নবীনগর, মঙ্গলপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্য করা গেছে।ষ, গত চারদিন ধরে। সোমবার দুপুরে এই একই চিত্র নজরে এসেছে রানীগঞ্জের রহমত নগর এলাকার পাশেই 60 নম্বর জাতীয় সড়কে। এ দিন প্রায় 15 মিনিট ধরে এলাকার বাসিন্দারা এলাকায় জল সরবরাহ হচ্ছে না। এই দাবি তুলে 60 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে স্বাভাবিক করে পরিস্থিতি।

টানা চার দিনের পর পাঁচ দিনের মাথায় রানীগঞ্জ বাসি জল পরিষেবা না পাওয়ায় এবার সিপিএমের রানীগঞ্জ এরিয়া কমিটির সদস্যরা, দিকে দিকে জল নেই কেন ? জল পরিষেবা এত দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ কেন? কেনইবা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে অল্প একটু পরিসরের পাইপ লাইন মেরামত করা সম্ভব হলো না ? সে সকল প্রশ্ন তুলে রানীগঞ্জের দু’নম্বর বোরো দপ্তরে বিক্ষোভে শামিল হয়। এদিন তারা বোরো দপ্তরের কার্যালয়ে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন রানীগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক রুনু দত্ত। তিনি এদিন দাবি করেন বিভিন্ন এলাকায় যে পরিমান জল পাঠানো হচ্ছে তা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়, মানুষজনেদের ব্যবহার্য জলের কোন যোগান দেয় নি পৌর প্রশাসক । শুধুমাত্র খাতায়-কলমে জল পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলেই দাবি করেন তিনি।

তাঁর দাবি বিকল্প কোন জলের ব্যবস্থা কেন রাখে নি তারা। তিনি এদিন এও দাবি করেন অবিলম্বে সোমবারের মধ্যে জল পরিষেবা শহরজুড়ে চালু না হলে তারা এর থেকেও বড় ধরনের আন্দোলন বোরো দপ্তরে দেখাবেন। পাশাপাশি এই বিক্ষোভ দেখানো ছাড়াও দিকে দিকে শহরজুড়ে রাস্তায় রাস্তায় নেমে পথ অবরোধের শামিল হবেন, দরকারে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতেও তারা পিছপা হবেন না বলেই কড়া সুরে হুঁশিয়ারি দেন রানীগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক রুনু দত্ত। তার দাবি ব্যবহার্য জল তো ছেড়েই দিন পানীয় জল বাদ দেওয়া যাক, শৌচের জন্য জল পাওয়া এখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য খনি শহর রানীগঞ্জে এমনিতেই জল স্তর ক্রমশই নিচে রয়েছে, এখানে জলের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় শুধুমাত্র কলের জলের ওপরে 80%র বেশি মানুষ নির্ভর করে থাকে। আর সেই জল পরিষেবা দীর্ঘ চার চারটে দিন না মেলায় মানুষ এখন ত্রাহি ত্রাহি রব করতে শুরু করেছে। এ মুহূর্তে জল পরিষেবা থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়ে পড়ায় স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে পড়েছে আসানসোল কর্পোরেশনের জল পরিষেবা। অন্যদিকে পুরসভা সূত্রের খবর আজ বিকাল আসতে পারে স্বস্তির খবর।কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শুরু হবে জল সরবরাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *