আসানসোল স্পেশাল পুলিশের দুর্গাপুজোয় বিশেষ ভূমিকা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সদর আসানসোলে দুর্গাপুজোর সময় যানবাহন সচল ও নিয়ন্ত্রণ এবং আইশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিপুণ হাতে যেমন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়াররা সামলাচ্ছেন ঠিক তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন শিল্পাঞ্চলের ” আসানসোল স্পেশাল পুলিশ”।
আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে বি এন আর মোড়ে স্পেশাল পুলিশের ক্যাম্প লাগানো হয়েছে। আসানসোলের প্রাণকেন্দ্র বিএনআর মোড়ে তারা ট্রাফিক ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাথে সহযোগিতা করছেন।
বস্তুত: এবার করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে দুর্গাপুজোর জৌলুস অনেকটাই ফিকে এবং এর সঙ্গেই রয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের করা নির্দেশিকা। ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিক ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই কঠিন কাজ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুজোর এই ৪ দিন নিবিড় যোগদান রয়েছে আসানসোল স্পেশাল পুলিশের।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং স্পেশাল পুলিশ সুব্রত ( মিঠু) ঘাঁটি বলেন, ” স্পেশাল পুলিশ প্রায় ৪০ বছর ধরে কাজ করে চলেছে সমাজের কল্যাণে। ড: কল্যাণ ব্যানার্জির নেতৃত্বে তারা কাজ করে চলেছেন। সমাজের গণমান্য ব্যক্তি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী স্পেশাল পুলিশের অঙ্গ।
এই কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁরা মানুষকে সতর্ক করছেন যাতে তারা মাস্ক ব্যবহার করেন এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন । আসানসোলের ট্রাফিক ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা যাতে ঠিক থাকে সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে সমাজের স্বার্থে তারা পুলিশের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুজোর ৪ টি দিন নিজেদের পরিবারকে কম সময় দিয়েও। তিনি আরো বলেন ডিসি হেডকোয়ার্টার অংশুমান সাহা, এসিপি ট্রাফিক ২ অজয় শঙ্কর চ্যাটার্জী ইতিমধ্যেই তাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন এবং প্রশংসা করেছেন।
মঙ্গলবার সপ্তমীর দিন
ড: কল্যাণ ব্যানার্জী, পিপি দাস, সুব্রত ঘাঁটি ( মিঠুদা), মৃণাল মুখোপাধ্যায়, সুজিত বসু, ড: দিবেন্দু চক্রবর্তী সহ ৩৫ জনের টিম আসানসোলের বিএনআর মোড় ছাড়াও আসানসোল কর্পোরেশন এর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে করণা সচেতনতায় দায়িত্ব পালন করেন।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে স্পেশাল পুলিশের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এই করোনা পরিস্থিতিতেও দুর্গাপুজোর সময়ে প্রশংসনীয়।