রানীগঞ্জ বল্লভপুর পেপার মিলে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি, চারদিনে ধরে কর্মবিরতি, কর্তৃপক্ষ কাজে যোগ দেওয়ার জন্য নোটিশ দিল
বেঙ্গল মিরর, রানীগঞ্জ , চরণ মুখার্জি ঃ বিজয়া দশমীর পরপরই কর্মবিরতির ডাক দিয়ে কাজে যোগ না দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হল রানীগঞ্জ বল্লভপুর পেপার মিল এর প্রায় 400 শ্রমিক। মঙ্গলবার তাদের এই কর্মবিরতি চারদিনের মাথায় পড়লো। শ্রমিকদের এই পদক্ষেপ লক্ষ্য করে শেষমেশ পেপার মিল কর্তৃপক্ষ কাজে যোগ দেওয়ার জন্য নোটিশ ঝোলালেন পেপার মিল গেটে।
সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই, কিন্তু পুজোর দিনগুলিতে কোনরূপ কোন উচ্চবাচ্য না করে পূজার দশমীর দিন পার হওয়ার পরে 16 তারিখ থেকে নাগাড়ে পেপার মিলে কর্মবিরতির ডাক দেয় সবকটি শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের সাথে পেপার মিলের শ্রমিকেরা। স্বাভাবিকভাবেই পেপার মিলের শ্রমিকদের এ ধরনের এই কর্মবিরতির জেরে স্বভাবতই মাথায় হাত পেপারমিল কর্তৃপক্ষের।




পেপারমিল সংগঠনের বাম নেতৃস্থানীয়দের দাবি পেপারমিল কর্তৃপক্ষকে বারংবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও কোনরূপ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পেপার মিল কর্তৃপক্ষ। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তিন বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও পেপার মিল শ্রমিকদের মজুরি পূর্বে যা দেওয়া হতো বর্তমানে এই মজুরি দিয়ে কাজ করানো হয়। এমনকি বোনাস আগে যে টাকা দেওয়ার কথা, সে টাকাও তারা দেয় না বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের,আর এর ফলেই আগুনের মধ্যে ঘি পড়ার মতোই তেতে ওঠে পেপার মিলের সমস্ত শ্রমিক।
একই রকম দাবি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দের। তারাও বারংবার পেপার মিল কর্তৃপক্ষ কে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসলেও শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেননি পেপার মিল কর্তৃপক্ষ বলে দাবি করেন তারা। আর এই বিষয়কে সামনে রেখে তারা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের বক্তব্যে। যদিও সকল রাজনৈতিক দলের সদস্যদের একটাই দাবি কোনো রাজনৈতিক রং না দেখে এখানে শুধু শ্রমিকস্বার্থের কথা ভেবে শ্রমিকদের সাথে তারা সংগ্রামে সামিল হয়েছেন, বলে দাবি করেছেন। এদিকে লাগাতার পেপার মিলের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেপার মিলের উৎপাদন শূন্য হয়ে পড়েছে। যদিও সমস্ত এই বিষয়ের প্রেক্ষিতে পেপার মিল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের কাছে কোন কিছুই জানাতে চাননি।
আসানসোল শহরে অবৈধ হোর্ডিং সরানো হল
আসানসোলে ঈদ মিলাদুন্নবী উদযাপিত, মন্ত্রী ও পুর প্রশাসককে সম্বর্দ্ধনা