KULTI-BARAKAR

আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ, খাটালের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

তিনমাসে একজনও আক্রান্ত হয়নি, বৈঠক করলেন পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১২ নভেম্বরঃ করোনা পুরোপুরি এখনো চলে যায়নি। তারমধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া ও স্বাস্থ্য বিভাগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে, শুক্রবার জানালেন আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরো বলেন, গত তিন মাসে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গুতে কেউ আক্রান্ত হয়নি। পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডেই সার্ভে টিম কাজ করছে। সাফাইয়ের কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগকে কড়া নজরদারি করতে বলা হয়েছে। এদিন কুলটির ডিসেরগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কুলটি পুর এলাকার ২৮ টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু মোকাবিলায় একটি বৈঠক করেন আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য চন্দ্রশেখর কুন্ডু।


পরে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ খুব ভালো কাজ করছে। শীত পড়লেও মশার উপদ্রব ‌কমছে না। রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছে এবার। তাই কোনরকম শিথিলতা বরদাস্ত করা হচ্ছে না। কি কি করতে হবে, তারজন্য এই বৈঠক। তিনি আরো বলেন, কুলটি, বরাকর‌ ও ডিসেরগড়ে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এমন রিপোর্ট নেই। মশা মারতে স্প্রে করা হচ্ছে। সেই স্প্রেতে রাসয়নিকের পরিমান সঠিকভাবে রাখতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি ‌তার পরিমান সামান্য বাড়ানো হচ্ছে। এর সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সবাই সহযোগিতা করছেন।

পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য বলেন, কয়েকটি খাটালের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। তাদেরে প্রথমে নোটিশ করা হবে। সেটা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। কুলটি পুর এলাকার ২৮ টি ওয়ার্ডে ২১৬টি ডেঙ্গু সার্ভে টিম কাজ করছে। তাতে ৪৩২ জন ভলেন্টিয়ার ও ৪৩ জন সুপারভাইজার রয়েছেন। এই টিমের প্রধান কাজ কোথায় জমা জল রয়েছে, তা সমীক্ষা করে দেখে তা নথিবদ্ধ করা। এছাড়াও কুলটির ২৮ টি ওয়ার্ডের জন্য স্যানিটেশান বিভাগের ১৬৮ জন কর্মী রয়েছেন। প্রতি ওয়ার্ডে ৬ জন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *