আসানসোলের কুলটি পুর এলাকা আড্ডার বসানো নয়টি সাবমারসিবল পাম্প খারাপ, সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা
দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩০ নভেম্বরঃ: আসানসোল পুরসভার অন্তর্গত কুলটির নিয়ামতপুর এলাকায় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে বসানো প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের ৯ টি জলের সাবমারসিবল পাম্প বছর খানেক ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে। এ বিষয়ে এর আগে পুরসভার কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে অভিযোগ জানালে কুলটির পুর দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছিলেন ওই কাজ তারা করেননি এ ডি ডি এ করেছে এবং তাদের কাছে এ ডি ডি এর থেকে এখনো পর্যন্ত পাম্পগুলো হস্তান্তর করা হয়নি।
এরপরে সোমবার কুলটি ব্লকের ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কুলটি বিধানসভা এলাকার সভাপতি টিংকু বর্মার নেতৃত্বে লিখিতভাবে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে চিঠি দিয়ে খারাপ হয়ে যাওয়া পাম্প গুলিকে মেরামত করার জন্য দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে দাবি তোলা হয় গন্ধি নগর এলাকায় একটি পাম্পে টাইমসেন্সার অচল থাকায় কুড়ি মিনিটের পরিবর্তে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে জল পড়ছে গভীর রাতে। এতে ব্যাপক জলের ক্ষতি হচ্ছে। সেটিও মেরামত করার কথা বলা হয়। সোমবার এ বিষয়ে এই সময়কে এ ডি ডি এর চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায় জানান এর আগে এই নিয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।সোমবারই আমি অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছি।
টিংকু বর্মা অভিযোগ করেন নিয়ামতপুর ও সংলগ্ন কুলটি এলাকায় বেশ কিছু অঞ্চলে দীর্ঘদিন চরম পানীয় জলের সংকট ছিল। সেই সংকট থেকে স্থানীয় মানুষকে বাঁচাতে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় প্রায় বছর দেড়েক আগে নটি সাবমারসিবল পাম্প বিভিন্ন জায়গায় বসিয়েছিলেন। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছিল নিয়ামতপুরের বৈরাগী বাগান, গান্ধীনগর ,বিষ্ণু বিহার, ডাঙাল পারা,মুসলিম বস্তি সহ বিভিন্ন এলাকা। কিন্তু আশ্চর্যের ঘটনা হলো গান্ধীনগর সাবমারসিবল পাম্প থেকে গভীর রাতে প্রচুর পরিমাণ জলপরে গেলেও তা কেউ ব্যবহার করতে পারে না ,যেহেতু তার টাইম সেন্সার টি খারাপ।
বাকি অন্যান্য জায়গা গুলির পাম্পগুলি বছরখানেক ধরে অচল হয়ে আছে। কেন অচল হয়ে পড়ে আছে এই বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে স্থানীয় কোন কোন বাসিন্দা জানান ওখান দিয়ে যখন আসানসোল পুর এলাকা কুলটিতে জলের পাইপ লাইন বসানোর কাজ করছিল সেই সময় এগুলি সব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপর থেকে বারবার বলা সত্ত্বেও পুরসভা কোনো ভূমিকা পালন করেনি।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী বাসিন্দা মলয় সিংহ ,বিবেক শ্রীবাস্তবরা বলেন একদিকে একটি পাম্প থেকে গভীর রাতের পরে জল পড়ে অপচয় হচ্ছে যা মানুষের কাজে লাগছে না। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি পাম্প দীর্ঘদিন ধরে খারাপ পড়ে আছে। কুলটি পুরসভার ভারপ্রাপ্ত এক ইঞ্জিনিয়ারকে এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানানো হলে তিনি বলেন এটা আড্ডা করেছে। আড্ডার চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমি সোমবারই লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারকে তা পাঠিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।